সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাপে পড়ে অবশেষে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ জানাল এফএসডিএল। আইএসএল ফাইনালের কয়েকঘণ্টা আগে পর্যন্ত আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি আয়োজকদের তরফে। গোটা বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ হয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মোহনবাগানের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ। তারপরেই তড়িঘড়ি আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে।

শনিবার বিকেলে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে নামছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। খেতাবি লড়াইয়ের কয়েকঘণ্টা আগেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন কুণাল। সেখানে লেখেন, ‘যুবভারতীতে আজ ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এফএসডিএল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করেনি। এটা রাজনৈতিক কারণে, এআইএফএফের বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলি হেলনে। বাংলার বুকে ফাইনাল, কেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলা হবে না?’ মোহনবাগানের তরফেও ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল বলেই পোস্টে লেখেন ক্লাবের সহ সভাপতি।
সেই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে আইএসএলের আয়োজকরা। ম্যাচ শুরুর আগেই ক্রীড়ামন্ত্রীকে ইমেল পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানান তাঁরা। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কুণাল লেখেন, 'যুবভারতীতে আজ অবশেষে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করল এফএসডিএল। আমার টুইটের প্রতিবাদের পর। বিষয়টি মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তকেও তখনই জানাই। সচিব ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এফএসডিএলের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। তারপর তাঁরা আজ দুপুরে ক্রীড়ামন্ত্রীকে ইমেল পাঠিয়ে আমন্ত্রণ করেন। যদিও এই বিলম্বিত আমন্ত্রণ অতীব অন্যায়ের। মোহনবাগান সচিব জানান তাঁর ধারণা ছিল এফএসডিএল আগেই ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছে। মাননীয় মন্ত্রীকে মোহনবাগান আবার অনুরোধ করছে যুবভারতীতে যাওয়ার জন্য।'
উল্লেখ্য, যুবভারতীতে বড় কোনও খেলা হলে সাধারণত রাজ্যের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়। অতীতে একাধিকবার সেই নজির দেখা গিয়েছে। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও অতীতে বহু খেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু দেশের সেরা টুর্নামেন্টের ফাইনালেই তাঁকে ডাকা হল না? প্রসঙ্গত, যুবভারতীতেই কয়েকদিন আগে লিগ শিল্ড জিতেছিল সবুজ-মেরুন। সেদিনও পুরস্কার প্রদান মঞ্চে ব্রাত্য ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তবে যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে আইএসএল ফাইনালে আমন্ত্রণ জানান হল।