বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ধর্ষণ রোধে কঠোর আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফের চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। গত ২২ আগস্ট ধর্ষণ রোধে কঠোর আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মমতা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির কোনও জবাব দেননি। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একটি উত্তর দেওয়া হলেও, সেটা দায়সারা। তাই দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ফের চিঠি। মমতার দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে, সেগুলি রুখতে অবিলম্বে কঠোরতম আইন আনতে হবে।
গত ২২ আগস্ট লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল, "দেশে রোজ প্রায় ৯০ টি এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় ইতি টানা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এসব ঘটনাকে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা দরকার। আমার প্রস্তাব, দেশের প্রতিটি জায়গায় ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট (Fast Track Court) তৈরি করা হোক। তার মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত হোক।" মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সেই চিঠি লিখলেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও উত্তর পাননি তিনি।
[আরও পড়ুন: জেলমুক্তির দাবি, হাই কোর্টের দ্বারস্থ পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নেতা সায়ন]
শুক্রবারের চিঠিতে মমতা উল্লেখ করেছেন, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একটি জবাব দেওয়া হলেও তাতে বিষয়টির গভীরতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সমাজে এই ইস্যুর গুরুত্ব কতটা তাতে আলোকপাত করা হয়নি ওই জবাবে। উপর উপর একটা দায়সারা জবাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে জানান, ধর্ষণ রোধে বাংলার সরকারের নেওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা জানানো হলেও সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ১০টি বিশেষ পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির অনুমতি দিয়েছে। তাছাড়া আগে থেকেই ৮২টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এবং ৬২টি বিশেষ পকসো আদালত চালু আছে। এই আদালতগুলিতে স্থায়ী জুডিশিয়াল অফিসার নিয়োগ করতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: জেলমুক্তির দাবি, হাই কোর্টের দ্বারস্থ পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নেতা সায়ন]
এদিনের চিঠিতে ফের ধর্ষণ ও খুন রুখতে কঠোরতম আইন আনার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, "আমি আবারও আপনাকে অনুরোধ করছি ধর্ষণ এবং খুনের মতো নৃশংস ঘটনা রুখতে কেন্দ্রীয় স্তরে কঠোর আইন আনুন। যাতে এই ধরনের অপরাধে কঠোরতম শাস্তি হয়। এবং অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়ে সম্পন্ন হয়।"