গৌতম ব্রহ্ম: পুজোর আগে ভাসছে একাধিক জেলা। প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি উত্তরের জেলাগুলি। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় দক্ষিণের বহু জেলাও জলমগ্ন। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে একাধিক নদীর জলস্তর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)।
নবান্নের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ফোন মারফত মুখ্যমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু, ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থার মতো একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন, ‘মুখ পোড়া’র আশঙ্কা করছে সিপিআইও]
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা-
- পরিস্থিতিতে নজর রাখতে নবান্নে ২৪*৭ কন্ট্রোল রুম চালু। টোল ফ্রি নম্বর চালু- ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬, ১০৭০
- পর্যটন দপ্তরের অফিসে চালু ২৪*৭ কন্ট্রোল রুম। টোল ফ্রি নম্বর- ১৮০০-২১২-১৬৫৫/ ৯০৫১৮৮৮১৭১
- সব জেলায় চালু ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম।
- রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মচারীর ছুটি বাতিল।
- ত্রাণ শিবিরে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- এখনও কোনও প্রাণহানির খবর নেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য।
- পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
রাত তিনটে নাগাদ সিকিমের মুখ্যসচিব ফোন করে সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির খবর দেন বাংলার মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে। এর পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকার্য। ইতিমধ্যে উত্তরের চার জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের একাংশ বিপর্যস্ত হয়েছে। চার জেলার বানভাসিদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। দার্জিলিং জেলায় ৩টি, কালিম্পং জেলায় ৬টি, জলপাইগুড়ি জেলায় ১১টি এবং কোচবিহারে ৮টি ত্রাণ শিবির চালু হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি। ফলে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।