সুব্রত বিশ্বাস: অসুস্থতা দেখিয়ে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা এড়াল কয়লা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্য ও ভিন রাজ্যে কয়লা পাচার নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
[আরও পড়ুন: কৃষকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েও ভারত বন্ধে রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ মমতার]
পাচারচক্রের উৎখাতে আসানসোলে শিবির করে চব্বিশ ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে এই বাহিনী। প্রতিক্ষেত্রে অভিযুক্ত লালা। তাঁর সন্ধানে কলকাতা ও পুরুলিয়ায় হানা দিয়ে লালাকে নাগালে পায়নি সিবিআই। সোমবার বেলা এগারোটায় সময়ে তাকে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই (CBI)। কিন্তু নিজেকে অসুস্থ জানিয়ে উকিলকে দিয়ে নিজাম প্যালেসে চিঠি পাঠায় সে। লালা কি আদৌ অসুস্থ? তা নির্ণয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ইতিমধ্যে লালা মুম্বই পালিয়েছে বলে অনুমান। মুম্বইয়ে সিবিআই আধিকারিকদের সতর্ক করেছে কলকাতার দপ্তর। আগামী ৩ দিনের মধ্যে ফের তাঁকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পাচারকারীদের সঙ্গে ইসিএল কর্তাদের সখ্যের একাধিক নমুনা পেয়েছে সিবিআই। ইসিএলের জায়গায় কয়লা পাচারকারীদের বেআইনি মেশিনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। গরু পাচারের তদন্তে বিএসএফের সহযোগিতা চেয়েছিল সিবিআই। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে বিএসএফের পোস্টেড কর্মীদের তালিকা পাঠাল সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিএসএফের গ্রেপ্তার হওয়া কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার দায়িত্বে থাকাকালীন মালদহ, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত গরু পাচারের মূল করিডোর ছিল বলে তদন্তে দেখেছে সিবিআই। কিভাবে, কাদের সহযোগিতায় পাচার চলতো তার বহু তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি তদন্তকারীরা সতীশ কুমারের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্ট কোটি কোটি টাকার হদিস পেয়েছে। একাজে সতীশ কুমারকে বিএসএফের কারা সহযোগিতা করতেন তার বিস্তারিত তথ্য পেতে সিবিআই দু’বছরের পোস্টেড কর্মীদের অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।