সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের অভিযান সিবিআইয়ের। জানা গিয়েছে, কলকাতা, পুরুলিয়া, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়ার মোট ১০ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
[আরও পড়ুন: একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, একদিনে আক্রান্ত ১৮১]
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কয়লা পাচারচক্রের মাথা অনুপ মাঝি ওরফে লালার শ্বশুরবাড়িতে হান দেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই মেলে একাধিক সূত্র। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এদিন আসানসোলে জয়দেব মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি বলিতোড়ায় লালা ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী গুরুপদ মাজির বাড়ি ও অফিস সমেত চার জায়গায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। জানা যায়, এই দুই ব্যক্তিই কয়লা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে, বাম আমলে কয়লা পাচারের গোটা সাম্রাজ্য ছিল জয়দেব মণ্ডলের হাতে। তারপর বাম জমানা শেষ হয়ে যাওয়ায় কিছুইটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। ২০১১ সালে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে জয়দেবকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু হাতিয়ারও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপর জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। এদিকে, পুরুলিয়ায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে গুরুপদ মাজির বলে অভিযোগ, লালার ব্যবসায় অংশীদার হওয়ার সুবাদেই এই প্রতিপত্তি বলে মনে করেন অনেকে। এছাড়া, বাঁকুড়ার মেজিয়ার তারাপুরের অমিয় স্টিল ফ্যাক্টরিতে হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা বলে খবর। এই ফ্যাক্টরিটির অফিস হচ্ছে কলকাতার লেনিন সরণিতে।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা ও তার সঙ্গী রত্নেশ ভার্মা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই আবেদনের বিষয়ে এদিন চূড়ান্ত রায় দেয়নি আদালত। তবে মামলার তদন্তকারী আধিকারিকের কাছ থেকে দু’জনের সম্পত্তির যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারও সিবিআইয়ের একটি দল পুরুলিয়ার ভামুড়িয়ার বাড়িতে লালার খোঁজে যায়। যদিও এদিন তাকে পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: বিবেক দংশন! ওষুধ লেখা নিয়ে বিতর্কের পর বৃদ্ধার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন চিকিৎসক]
দেখুন ভিডিও: