সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘অতিসক্রিয়’ সিবিআই (CBI)। এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার লক্ষীনারায়ণ মিনাকে সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
[আরও পড়ুন: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী, কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে এলাকাবাসী]
সূত্রের খবর, আগামী ২৩ মার্চ তলব করা হয়েছে মিনাকে। তাঁকে কলকাতায় সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ২৪ মার্চ তলব করা হয়েছে বাঁকুড়ার প্রাক্তন জেলাশাসক অরুণ প্রসাদকে। কয়লা পাচার নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামুড়িয়া থানার প্রকট আইসি পার্থ ঘোষকেও ডাকা হয়েছে ২২ মার্চ। জানা গিয়েছে, আসানসোলের পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন কয়লা পাচারের অভিযোগে কী পদক্ষেপ করেছিলেন মিনা, তা জানতে চাইছে সিবিআই। এছাড়া সেই সংক্রান্ত ফাইল নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। একইভাবে প্রশ্ন করা হতে পারে আইএএস আধিকারিক অরুণ প্রসাদকে। উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত অরুণ প্রসাদ বাঁকুড়ার জেলাশাসক থাকাকালীন কীভাবে অবৈধ কয়লা পাচারের রমরমা বাড়ে, তা নিয়ে তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তিনি কি আদৌ বিষয়টি জানতেন? যদি জানতেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন?
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ কয়লা পাচার কাণ্ডে বাঁকুড়ার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অশোক মিশ্রকে সমন পাঠায় সিবিআই। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হচ্ছে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই মিটিং মিছিল প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির। তারমধ্যে আইসিকে সিবিআইয়ের তলবে থরহরিকম্প বাঁকুড়ার পুলিশ প্রশাসন। আগেই বাঁকুড়ার শালতোড়া, মেজিয়ায় সরেজমিনে তদন্তে কয়েকদফা পরিদর্শন করে গিয়েছেন সিবিআই অধিকারিকরা। উল্লেখ্য, মেজিয়া ব্লকেই সরকারি কালিদাসপুর কোলিয়ারি রয়েছে। তার আড়ালেই কয়লা পাচারচক্রের মাফিয়ারাজ শুরু হয়েছিল এই জেলায়। এই চক্রের সঙ্গে আইসির যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের।রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিবিআইয়ের এহেন কার্যকলাপের নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ।