সুব্রত বিশ্বাস: কয়লা কাণ্ডে সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির নিজাম প্যালেসের দপ্তরে এলেন রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি জ্ঞানবন্ত সিং।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, উত্তপ্ত কেতুগ্রাম]
এদিন সকাল সাড়ে ছ’টার মধ্যেই সিবিআই দপ্তরে চলে আসেন জ্ঞানবন্ত। সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি বেরিয়ে যান। মূলত এত সকালে কাউকেই হাজিরা দিতে দেখা যায়নি। সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে জ্ঞানবন্ত সিং সিবিআই আধিকারিকদের জানান, যেহেতু তিনি ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটির দায়িত্বে রয়েছেন, তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তদারকি করতে হয়। ফলে মঙ্গলবার সারাদিন তিনি কাজে ব্যস্ত থাকবেন। সকালের দিকে তিনি সময় দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা প্রস্তাবে রাজি হলে তিনি খুব সকালে নিজাম প্যালেসে হাজির হন। সেই সময় দপ্তরে শীর্ষ সিবিআই আধিকারিকরা উপস্থিত না থাকায় বিশেষ জেরা করা হয়নি তাঁকে। ফলে তাঁর জমা দেওয়া নথি খতিয়ে দেখে ফের সমন পাঠাতে পারে সিবিআই বলে খবর। এদিন প্রায় দু’ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি বেরিয়ে যান। সম্প্রতি কয়লা পাচারে একাধিক পুলিশ আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর নাম উঠে আসে বলে সূত্রের দাবি। বিষয়টি স্পষ্ট করতে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, রাজ্যে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তভার পাওয়ার পরপরই বেশ তৎপরতার সঙ্গে কাজে নেমেছে সিবিআই। মূল চক্রীদের হদিশ পেয়ে তাদের নাগালে এনে দ্রুতই এর কিনারা করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই অন্যতম মূল পাণ্ডা ব্যবসায়ী অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জালে এনেছে সিবিআই। আরেক চক্রী বিনয় মিশ্র এখনও অধরা। তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তারের পর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চালানো হচ্ছে। এছাড়া রাজ্যে কয়লা খনি অধ্যুষিত জেলাগুলির তৎকালীন পুলিশ আধিকারিকদের কাছে থেকেও তথ্য পেতে তাঁদেরও জেরা করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।