সুকুমার সরকার, ঢাকা: শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশিদের থেকে বাজেয়াপ্ত হেরোইন এবং কোকেন পাচারের করা হচ্ছিল ভারতে। কলম্বোয় ধৃতদের জেরা করা এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন বাংলাদেশের তদন্তকারীরা। ধৃত ৫ জনকে জেরা করতে কলম্বো গিয়েছেন বাংলাদেশ তদন্তকারীদের তরফে উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল। তদন্তে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের আরও বেশ কয়েকটি তথ্য। বিদেশে হেরোইন ও কোকেন চালান করার বিনিময়ে মাসে নিয়মিত বেতন পেতেন তারা। ওই দিন বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রায় ৫ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেনের গন্তব্য ছিল ভারত। আর হেরোইন পাচার করার পরিকল্পনা ছিল কলম্বোয়।
সাংবাদিককে হত্যার পরিকল্পনা আনসার টিমের, পুলিশি সক্রিয়তায় বানচাল ছক
হেরোইন ও কোকেন বহনের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশের আরও দুই নাগরিককে চিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর কলম্বোর মাউন্ট লাভিয়ানা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জামালউদ্দিন ওদেওয়ান রফিউল ইসলামের কাছে থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ২৭২ কেজি হেরোইন এবং পাঁচ কেজি কোকেনই শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদক পাচারের ঘটনা। RAB অধিকর্তা বেনজির আহমেদ সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘শ্রীলঙ্কায় বাজেয়াপ্ত হেরোইন ও কোকেন বাংলাদেশ থেকে যায়নি। এমনকী এই চালানের রুটও বাংলাদেশ ছিল না। তবে একটি চক্র এ ধরনের মাদক পাচারে বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিককে ব্যবহার করছে।’ জানা গিয়েছে, এই চক্রটি মূলত পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, দুবাই ও আফগানিস্তানকেন্দ্রিক।
চাকরির আবেদনেই হ্যাকিংয়ের ফাঁদ, অভিনব চুরি বাংলাদেশ ব্যাংকে
তদন্তে জানা গিয়েছে, হেরোইন এসেছিল আফগানিস্তান থেকে। এটি করাচি বন্দর থেকে মাছ ধরার নৌকায় করে পৌঁছয় কলম্বোয়। আর উত্তর আমেরিকা থেকে এসেছিল কোকেন। এটি মালয়েশিয়া-কলম্বো হয়ে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। গ্রেপ্তার বাংলাদেশের তিন নাগরিক স্বীকার করেছেন, তিন-চার বছর ধরে তারা হেরোইন ও কোকেন পাচারের সঙ্গে যুক্ত। ঢাকায় দায়িত্বশীল একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের আপাতত দেশে ফেরানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।