সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুদ্রা বিভ্রান্তিতে জেরবার গোটা রাজ্য। জেলায় জেলায় অসন্তোষ। কোথাও এক টাকার কয়েন নেওয়া হচ্ছে না। কোথাও বা আবার দশ টাকার কয়েন কাউকে দিলেই বচসা বাধছে। শহরের ছবিটাও একই। এই কদিন আগেও যে শহরে খুচরো সমস্যায় জেরবার হতে হত আম-আদমিকে, এখন সেখানেই খুচরো বাহুল্যে নাকাল জনগণ। এদিকে নানা ডিজাইনের বা রকমের মুদ্রা বাজারে প্রচলিত। কয়েন বিভ্রান্তিতে কোনটা আসল, কোনটা নকল তা নিয়েও জোর ধন্দ। এবার সে ব্যাপারেই স্পষ্ট তথ্য জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
[ রাজনৈতিক দলকে নগদে ২০০০ টাকার বেশি চাঁদা নয়, কড়া নির্দেশ আয়কর দপ্তরের ]
পঁচিশ পয়সা বা পঞ্চাশ পয়সার কয়েন অচল। কোনও নির্দেশিকা নেই। কিন্তু অঘোষিত নিয়মে এই কয়েন আজকাল আর কেউ নেন না। নোট বাতিলের পর থেকে বাজারে খুচরোর জোগান আরও বেড়েছে। হালফিল পরিস্থিতি এরকম যে, কেউ আর খুচরো নিতেই চাইছে না। এমনকী ভিক্ষুকরাও খুচরো পেয়ে যারপরনাই বিপর্যস্ত। কেননা কোনও দোকানেই খুচরো নেওয়া হচ্ছে না। ফলে হাতে টাকা থেকেও খাবার না পেয়ে শেষমেশ ধরনায় বসেছিলেন ভিক্ষুকরা। জেলায় জেলায় এ ছবি সামনে এসেছিল। এমকী ভিনরাজ্যেও স্থানীয় ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু কয়েন বাতিল হয়ে গিয়েছিল। কোথাও আবার গুজবের কারণে কেউ দশ টাকার কয়েন নিতে চাইছিলেন না। ভুয়ো খবরের জেরে দুরকম দশ টাকার কয়েনের একটি নকল বলে প্রচারিত হয়েছিল। শেষমেশ গুজব রুখতে এগিয়ে এসেছিল আরবিআই। কয়েন না নিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল।
[ দেশের সম্পদের ৭৩ শতাংশই কুক্ষিগত করেছে ১ শতাংশ ধনী ]
সম্প্রতি বিভ্রান্তি দূর করতে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এবার আম নাগরিককে রীতিমতো মেসেজ করে জানানো হচ্ছে, বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের কয়েন চালু আছে। মুদ্রা যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় সে কারণেই এই পদ্ধতি নিয়েছে আরবিআই। কিন্তু তা নিয়ে বিভ্রান্তির কোনও অবকাশ নেই। প্রত্যেককে মেসেজ করেই ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাত্রা বাড়িয়ে কয়েন বিভ্রান্তি দূর করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে ১৪৪৪০ নম্বরে মিসড কল দিতেও বলা হয়েছে। অর্থাৎ সবরকম মুদ্রা যে বৈধ তা এবার ব্যক্তিগতভাবেই সকলকে জানিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
The post নানা রকমের কয়েন কি আদৌ নেবেন? কী জানাল আরবিআই? appeared first on Sangbad Pratidin.