সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়: ফের ভাঙন তৃণমূলে। শুভেন্দু অধিকারীর পথে হেঁটে জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতেই একে একে পদ ছাড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে, এদিনই পদত্যাগ করেছেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি। এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে গতকাল শুভেন্দু অধিকারী যে বৈঠক করেন, সেখানে ছিলেন দীপ্তাংশুবাবু। বৈঠকের পরই এহেন সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল সুপ্রিমো প্রচারে নামলেও অব্যাহত দলের ভাঙন। একের পর এক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দলের তাবড় তাবড় নেতারা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদও ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জিতেন্দ্র তিওয়ারির একাধিক মন্তব্যের কারণে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরসভার প্রশাসকের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর অমিত তুলসিয়ান ও অভিজিত আচার্য এবং কর্পোরেশনের লিগাল অ্যাডভাইজার রবিউল ইসলাম।
[আরও পড়ুন: গণধর্ষণের পরেও দায়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ! ভাতার থানার সামনে বিক্ষোভ আদিবাসীদের]
কেন আচমকা এই পদত্যাগ? রবিউল জানান, তিনি কোনওভাবে জানতে পেরেছেন, প্রশাসক পদ ত্যাগ করবেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি আমাকে পদ দিয়েছিলেন, উনি না থাকলে আমিও থাকব না।” যদিও কোনওভাবেই বিজেপিতে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন রবিউল। পদত্যাগের স্বপক্ষে দুই কাউন্সিলরের যুক্তিও একই। এদিন পদত্যাগ করেছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।