সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকায় দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন কর্নেল সন্তোষ বাবু। নিজের জীবনের পরোয়া না করে রুখে দিয়েছিলেন চিনা হানাদার বাহিনীকে। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসে সেই বলিদানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তাঁকে মরণোত্তর মহাবীর চক্রে সম্মানিত করা হবে।
[আরও পড়ুন: নাভালনির গ্রেপ্তারিতে নিন্দার ঝড়, রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের]
২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ব লদাখের গালওয়ান উপত্যকায় অনুপ্রবেশ চালায় লালফৌজ। দেশের সীমানা রক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু। কিন্তু সেই রাতে বর্ডার ইনস্পেকশন টিমের প্রধান কর্নেল বি সন্তোষ বাবু, সিপাই পালনিয়াপ্পান-সহ তিনজনকে বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়ে হত্যা করে চিনা সেনা। বিহার রেজিমেন্টের ৪০ থেকে ৫০ জন জওয়ানের বিরুদ্ধে চিৎকার করতে করতে কাঁটাওয়ালা রড, মুগুর, পাথর নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সংখ্যায় চার গুণ বেশি চিনা সেনা। এই অসম যুদ্ধে নিহত হন বীরভূমের বাসিন্দা রাজেশ ওঁরাও-সহ অনেকেই। তখনই খবর যায় ফরোয়ার্ড পোস্টে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে প্রায় দেড় কিলোমিটার দৌড়ে এসে পালটা আঘাত হানে ঘাতক কমান্ডো ফোর্স।
উল্লেখ্য, গালওয়ানে সংঘর্ষের পর শান্তি ফেরানো নিয়ে দুই দেশের সেনা কর্তারা মোট নয় দফা বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, এই ৯ দফার বৈঠকে সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধানসুত্র না বেরলেও দুই দেশই গালওয়ান-সহ কয়েকটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সৈন্য সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঐকমত্য় হয়েছে। সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত রোডম্যাপও তৈরি হয়েছে। কিন্তু বৈঠকই সার। এখনও ওই এলাকা এখনও পুরোপুরি চিনাদের দখলমুক্ত নয়। সূত্রের খবর, গ্যাংগংয়ের ফিংগার ফোর থেকে ফিংগার এইটের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার চিনা সেনা মোতায়েন আছে। তবে ভারতও সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সাফ জানিয়েছেন, আগ্রাসনের কড়া দেওয়া হবে।