সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যেমন কাজ করেছে, তেমনই শাস্তি পেয়েছে।’ বললেন উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) দুই শিশুকে খুনে অভিযুক্ত যুবকের মা। উল্লেখ্য, পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ছেলে সাজিদ মহম্মদের। আরেক ভাই জাভেদ পলাতক। যুবক সন্তানের মৃত্যুর মতো কঠিন শোকের পরেও দুই শিশুকে হারানো তরুণী মায়ের পাশে দাঁড়ালেন বৃদ্ধা। এদিকে এখনও পর্যন্ত খুনের কারণ অস্পষ্ট। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, শিশুদের মায়ের কাছে ৫ হাজার টাকা ধার চান সাজিদ। সেই টাকা পাওয়ার পরেও দুই শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় রহস্য ঘনাচ্ছে।
সাজিদের মা নাজিন জানান, কেন ছেলে নৃশংস অপরাধ করল জানা নেই তাঁর। বলেন, ‘ওঁদের মাথায় কী চলছিল বলতে পারব না। জলখাবার খেয়ে সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ি ছেড়েছিল। জানি না কী হয়েছিল। বাড়িতে কোনওরকম উত্তেজনা করেনি।’ নাজিন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নিহত ওই শিশুদের পাড়ায় সেলুনের দোকান চালাতেন দুই ভাই। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। তাহলে? সেকথা জানা না থাকলেও বৃদ্ধা বলেন, ‘ওঁরা যদি ওই কাজ না করত তবে আজকের পরিস্থিতির মধ্যে পড়ত না। ওদের সঙ্গে যা হয়েছে, ঠিকই হয়েছে। তুমি যদি অপরাধ করো, তবে ভুগতে হবে।’
[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচ কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ১, এবার পুলিশের জালে জমির মালিক]
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী বিনোদ ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দুই ছেলেকে খুন করার অভিযোগ ওঠে সাজিদ মহম্মদের বিরুদ্ধে। বদায়ুঁর বাবা কলোনি এলাকায় একটি সেলুন চালাতেন সাজিদ। সেলুনের উলটো দিকে বিনোদের বাড়ি। বিনোদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন সাজিদ। মঙ্গলবার বিনোদের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতার কাছে চা খেতে চান সাজিদ। গর্ভবতী স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ৫ হাজার টাকা ধারও চান। বিনোদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সেই টাকা দেন সঙ্গীতা। এর পরে ছাদে উঠে যান সাজিদ। যেখানে তিন নাবালক পুত্র খেলছিল।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক কাণ্ড ছত্তিশগড়ের শপিংমলে, বাবার কোল থেকে পড়ে মৃত্যু একরত্তির]
পুলিশের দাবি, ছাদে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিনোদের তেরো বছর এবং ছ’বছর বয়সি দুই ছেলেকে খুন করেন সাজিদ। আট বছর বয়সি আরেক ছেলের উপরেও আক্রমণ করেন। যদিও ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিল সে। এর পর রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সাজিদের। অন্যদিকে ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে পাহাড়ায় থাকা জাভেদ বর্তমানে পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।