সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইভিএম নিয়ে কারচুপির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার সেই অভিযোগ নতুন মাত্রা পেল মধ্যপ্রদেশে। এতদিন অভিযোগ উঠছিল ফলপ্রকাশের পর। এবার ফলপ্রকাশের আগেই অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের দাবি, তাদের অভিযোগের যথেষ্ট ভিত্তি আছে। আশ্চর্যজনকভাবে কংগ্রেসের দাবি আংশিকভাবে মেনেও নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
[২০২২ সালে জি-২০ সম্মেলন হবে ভারতে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী]
ভোটের পর ভোপালের একটি ইভিএম সংরক্ষণ কেন্দ্রে কারচুপি করেছে বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, সাগর জেলার একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের পর দু’দিন বেআইনিভাবে ভোটকেন্দ্রেই পড়ে ছিল ইভিএমগুলি। ৪৮ ঘণ্টা পর সেগুলিকে নম্বরপ্লেটবিহীন গাড়িতে করে পাঠানো হয় স্ট্রং রুমে। প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই ৪৮ ঘণ্টায় ভোট সংখ্যার হেরফের করেছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, স্ট্রং রুমে ঢোকার পরও কারচুপি হয়েছে ইভিএমগুলিতে। এমনকী স্ট্রং রুমের সিসিটিভি বন্ধ করে ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। হাত শিবিরের সেই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিল নির্বাচন কমিশন। ভোপালের জেলাশাসক তথা নির্বাচনী আধিকারিকের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওল্ড জেল স্ট্রং রুমের বাইরে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ডিসপ্লে স্ক্রিন ৩০ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা ১৯ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে ওই সময় সিসিটিভিতে কোনও ফুটেজ রেকর্ডিং করা সম্ভব হয়নি। সিসিটিভি বন্ধের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে লোডশেডিংকে।
[হিন্দুত্বের মৌলিক ধারণাও নেই প্রধানমন্ত্রীর, মোদিকে তোপ রাহুলের]
এদিকে কংগ্রেসের আরেক অভিযোগ অর্থাৎ, বেনজিরভাবে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা পর ইভিএম জমা দেওয়ার ঘটনাটিও কার্যত মেনে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার খুরাই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দু’দিন পর নম্বরপ্লেটহীন বাসে করে ইভিএম জমা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ইভিএমগুলি স্ট্রং রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বেনিয়ম কেন হল? কমিশন জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
The post উধাও স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ফুটেজ, মধ্যপ্রদেশে তুঙ্গে ইভিএম বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.