shono
Advertisement

কলকাতায় জাল ছড়াচ্ছে ডার্কওয়েব! কড়া হাতে মোকাবিলার নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের

ভোটের আগে জামিন অযোগ্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ।
Posted: 09:29 AM Feb 21, 2021Updated: 01:03 PM Feb 21, 2021

অর্ণব আইচ: অপরাধের ট্রেন্ড পাল্টাচ্ছে কলকাতায়। ডার্কওয়েব (Dark Web) ও সাইবার জালিয়াতি সংযুক্ত হচ্ছে অপরাধ জগতে। এবার এই ‘আধুনিক অপরাধে’র মোকাবিলা করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। শনিবার প্রত্যেক থানার ওসি ও পুলিশ কর্তার সঙ্গে অপরাধ দমনে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার। এই পদে দ্বিতীয়বারের জন্য আসার পর থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের নিয়ে এটিই তাঁর প্রথম বৈঠক। অপরাধ দমনের সঙ্গে সঙ্গে যাতে পুলিশের সুনাম বজায় থাকে, সেই ব্যাপারে আধিকারিকদের গুরুত্ব দিতে বলেন। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীদের থাকার জায়গা ও বাহিনী কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকের প্রথমে এদিন গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে একটি প্রেজেন্টেশন করা হয়। ১৯৪৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত অপরাধের ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনা করেন পুলিশ কমিশনার। বলা হয়, স্বাধীনতার পর দারিদ্র ঘিরে প্রচুর অপরাধ সংগঠিত হত। খুনের সংখ্যা বেশি ছিল। বেশি হত ডাকাতিও। উল্লেখ্য, সৌমেন মিত্র যখন গোয়েন্দাপ্রধান ছিলেন তখন বহু দুর্ধর্ষ ডাকাতির কিনারা করেছেন তিনি। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ডাকাতির সংখ্যা বেশি ছিল কলকাতায়। ধীরে ধীরে সেই অপরাধ কমছে। কিন্তু বাড়ছে অন্য ধরনের অপরাধ, যার মধ্যে রয়েছে ডার্কওয়েব বা সাইবার অপরাধ।

[আরও পড়ুন : মাত্র এক ঘণ্টায় দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ, ২৩ তারিখ থেকেই শুরু এই রুটের মেট্রো]

উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭৬ গ্রাম কোকেন। এই ধরনের মাদক ডার্কওয়েবের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা হয়। এ ছাড়াও ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে যে ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে, সেই ব্যাপারে প্রত্যেক থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের জানানো হয়। এ ছাড়াও প্রত্যেকদিন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাইবার অপরাধের অভিযোগ আসছে। সেই কারণে লালবাজার সাইবার থানা ছাড়াও প্রত্যেকটি ডিভিশনে তৈরি হয়েছে সাইবার সেল। সাইবার অপরাধের মোকাবিলার ব্যাপারে বিভিন্ন নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। তিনি জানান, সাইবার অপরাধ ও ডার্কওয়েব নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এরপর ওই অপরাধীরা যাতে সাজা পায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশকে প্রত্যেকটি অপরাধ দমনের জন্য থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের সংযোগের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। পুলিশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার জন্য গুরুত্ব দিয়েছেন সৌমেন মিত্র। 

সামনেই তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতায় আসছে। এর পর আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী শহরে আসবে। তাদের থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতার কোন কোন জায়গায় রুট মার্চ করবে, তা নিয়েও আলোচনা করেন লালবাজারের কর্তারা। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত পুলিশ ট্রেনিং স্কুল ও দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখা হচ্ছে। এর পর কোন কোন জায়গায় এই বাহিনী থাকবে, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে খসড়া। ভোটের আগে লালবাজার কর্তাদের নির্দেশ মেনে দিনরাত টহল বাড়ানো, জামিন অযোগ্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন : ‘কৈলাস ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং আমাকে ফাঁসিয়েছে’, বিস্ফোরক বিজেপির যুবনেত্রী পামেলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement