সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও বিপাকে টুইটার। এবার সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠল টুইটার ইন্ডিয়ার একাধিক কর্তার বিরুদ্ধে। যার দরুন দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। তাঁর কথায়, এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে হিন্দু দেবী কালীর একটি ‘অশ্লীল’ ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। টুইটারে তা ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে দাবি ওই আইনজীবীর।
টুইটার ইন্ডিয়ার (Twitter India) ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মনীশ মাহেশ্বরী, টুইটার ইন্ডিয়ার নীতি নির্ধারক সৌগুফত কামরানের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে দিল্লির সাইবার সেলের ডিসিপিকে ইমেল করেছেন আইনজীবী আদিত্য সিং। এর পাশাপাশি, হিন্দু দেবীর বিতর্কিত ছবি পোস্ট করায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা Republic Atheist-এর প্রতিষ্ঠাতা আরমিন নভাবি এবং সিইও সুসানা ম্যাসিনত্রির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ঘুষ না দেওয়ায় উত্তরপ্রদেশে ৭৫ দিন মর্গেই পড়ে রইল কোভিডে মৃত ব্যক্তির দেহ]
আইনজীবীর কথায়, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার টুইটার হ্যান্ডেলে হিন্দু ধর্মের দেবীর অশ্লীল ছবি পোস্ট করা হয়। শুধু তাই নয়, ছবি পোস্ট করার কারণও যথেষ্ট বিপজ্জনক, অবমাননাসূচক, বিদ্বেষমূলক বলে দাবি করেছেন আইনজীবী আদিত্য সিং। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ ধরনের ছবি হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত করেছে শুধু নয় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষে ছড়াতেও ইন্ধন জুগিয়েছে। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এর আগেও টুইটারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যদিও হাজিরা এড়াতে কর্ণাটক আদালত থেকে আগাম জামিন নেন টুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মনীশ মাহেশ্বরী। এবার ফেরে দিল্লির সাইবার সেলে তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হল।
[আরও পড়ুন: অমানবিক! শ্বশুরবাড়ি থেকে মামার বাড়ি চলে আসায় যুবতীকে গাছে বেঁধে মারধর বাবা-ভাইদের]
কেন্দ্রের নয়া আইন অমান্য করায় সম্প্রতিই টুইটারের কাছ থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এরপরই প্রথমবার ভারতে টুইটারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনাটিও। সেখানে এক মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা অসত্য বা বিকৃত বলে চিহ্নিত না করায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের পাশাপাশি টুইটারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। কেন্দ্রের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আইনি সুরক্ষা না থাকায় এ বার থেকে এই ধরনের বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে টুইটারকেও জবাবদিহি করতে হবে এবং শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে। এর পরই পরপর পাঁচটি অভিযোগ দায়ের হল।