সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্র যতই আসন্ন বাদল অধিবেশন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ করার তাড়াহুড়ো দেখাক, বিজেপির ঘরেই বাড়ছে বিতর্কিত এই প্রস্তাবের বিরোধিতা। এবার খোদ বিজেপির জোটসঙ্গী এনপিপি বলছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ভারতের মূল ধারার বিরোধী। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছেন, কেন্দ্র যদি দেওয়ানি বিধি লাগু করার জন্য জোরাজুরি করে, সেক্ষেত্রে তাঁর দল স্পষ্ট বিরোধিতা করবে।
সাংমা বলছেন,”বিভেদের মধ্যে ঐক্য এটাই আমাদের পরিচয়। এটাই আমাদের শক্তি। এনপিপি মনে করে ভারতের মতো বহুত্ববাদের দেশে এক আইন কার্যকর করাটা আমাদের মূল ভাবনার বিরোধী” কনরাড সাফ বলছেন, উত্তরপূর্ব ভারতের সংস্কৃতির নিজস্বতা আছে। আর আমরা এমনটাই থাকতে চায়। তাঁর বক্তব্য, মেঘালয়ে বহু সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। তাঁদের সংস্কৃতি আলাদা, সেটা বদলানো সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: শুরুতেই সমস্যা, কলকাতা লিগে পিছোতে পারে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ!]
এতো গেল বিজেপির জোট শরিকের কথা। মুসলিম পক্ষ আপাতত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে নীরব থাকার স্ট্রাটেজি নিয়েছে। দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিতর্কে নীরব থাকার ‘ফতোয়া’ দিয়েছেন। তিনি ইদের দিন বিদেশ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনকে এ নিয়ে মুখ না খোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে আইনি ভাবে যে এর বিরোধিতা হবে, সেটার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড।
[আরও পড়ুন: ২৭ বছর পর ডুরান্ড কাপে বিদেশি দল, এক গ্রুপে পড়তে পারে দুই প্রধান]
তবে সব বিরোধিতা উড়িয়ে UCC যে আসবেই, সেটাও একপ্রকার নিশ্চিত। বিজেপির (BJP) বক্তব্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে। লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে। মহিলারা শক্তিশালী হবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এর ফলে সংবিধানের (Constitution of India) মূল ভাবধারা বজায় থাকবে। ‘একটি রাষ্ট্রে দুই প্রধান, দুই নিশান ও দুই বিধান থাকতে পারে না।’ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই বাক্যবন্ধ বিজেপির নীতি নির্ধারণে স্পষ্ট।