সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূলত হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থের প্রকাশক তারা। রামায়ণ, মহাভারত থেকে শুরু করে পুরাণ কিংবা গীতা। যোগীরাজ্যের সেই শতবর্ষ প্রাচীন প্রকাশনা সংস্থা গীতা প্রেসকে (Gita Press) চলতি বছরে গান্ধী শান্তি পুরস্কারের (Gandhi Peace Prize) জন্য বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। গোরক্ষপুরের প্রকাশনা সংস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে রবিবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক এক বিবৃতি জারি করেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। তাঁর কথায়, “গীতা প্রেসকে পুরস্কার দেওয়া সাভারকর বা গডসেকে পুরস্কার দেওয়ার সমতুল্য।”
১৯৯৫ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে গান্ধী শান্তি পুরস্কার চালু করে তৎকালীন ভারত সরকার। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, শ্রেণি, লিঙ্গভেদে শান্তি রক্ষার্থে যাঁরাই এগিয়ে আসেন, তাঁদেরই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এখানেই আপত্তি কংগ্রেস নেতার। তিনি টুইট করেন, মোদির নেতৃত্বে সংস্কৃতি মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত গান্ধী শান্তি পুরস্কারের সঙ্গে ‘প্রতারণা’।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া আমাদের কাজ নয়’, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কমিশন, মঙ্গলবার শুনানি]
রমেশ টুইট করেছেন, “২০২১ সাল গান্ধী শান্তি পুরস্কারটি গোরক্ষপুরের গীতা প্রেসকে প্রদান করা হচ্ছে, যারা চলতি বছর শতবর্ষ উদযাপন করছে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে গীতা প্রেসের প্রতিষ্ঠাতা অক্ষয় মুকুলের আত্মজীবনী (গীতা প্রেস এবং হিন্দু ভারত গঠন)। যেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে চরম সংঘাতপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। নেপথ্যে উভয়ের রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক ভাবনার বিপরীতমুখীতা। অতএব কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত প্রতারণামূলক। সাভারকর এবং গডসেকে পুরস্কার দেওয়ার সমতুল্য।”
[আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে টাকা হাতিয়ে চিনে পাচার! দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার ক্রিপ্টো জালিয়াতি চক্রের মাথা]
গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২১-এর প্রাপক কে হবে এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি বিচারমণ্ডলী থাকলেও তার মাথায় থাকেন প্রধানমন্ত্রীই। সংস্কৃতি মন্ত্রক পুরস্কার ঘোষণার পরেই টুইট করে শতবর্ষ প্রাচীন প্রকাশনা সংস্থাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লিখেছেন, ” ২০২১ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার জন্য আমি আমি গীতা প্রেস, গোরক্ষপুরকে অভিনন্দন জানাই। তারা গত ১০০ বছর ধরে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।” গীতা প্রেসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। উল্লেখ্য, গীতা প্রেস এখনও পর্যন্ত ১৪টি ভাষায় ৪১ কোটি ৭০ লাখ বই ছেপেছে। এরমধ্যে ১৬ কোটি ২১ লক্ষ শ্রীমদ্ভগবত গীতা।