সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর বড় সংকটের মুখে পড়েছিল শিল্পপতি গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গোষ্ঠী। তবে ক্রমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সংস্থাটি। আবার বড়সড় পদক্ষেপ করল আদানি গোষ্ঠী। আদানিদের অম্বুজা সিমেন্ট কিনে নিল সংঘি ইন্ডাস্ট্রিজের অংশীদারিত্ব (শেয়ার)।
বস্তুত, হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের পর এটিই আদানির বৃহত্তম অধিগ্রহণ পদক্ষেপ। অম্বুজা সিমেন্টস জানিয়েছে, সংঘি ইন্ডাস্ট্রিজ়ের প্রোমোটার গোষ্ঠী রবি সংঘি এবং পরিবারের হাত থেকে ৫৬.৭৪ শতাংশ শেয়ার কিনেছে তারা। এ জন্য খরচ হচ্ছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। তার পরে খোলা বাজার থেকে সাধারণ লগ্নিকারীদের হাতে থাকা আরও ২৬ শতাংশ শেয়ারও কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তা সফল হলে আরও ৭৬৭.১৫ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। তখন সব মিলিয়ে সংঘি ইন্ডাস্ট্রিজের ৮২.৭৪ শতাংশ শেয়ার অম্বুজা সিমেন্টসের হাতে আসবে।
[আরও পড়ুন: সাংসদ পদ ফেরত পেলেন রাহুল গান্ধী, ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের মিষ্টি বিলি অধীরের]
এরপরেই আদানিদের এই অধিগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রবিবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, সংঘি অধিগ্রহণের কথাবার্তা শুরু হয়েছে জানতে পেরেই শ্রী সিমেন্টের অফিসে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। তার পরেই আচমকা দৌড় থেকে সরে দাঁড়ায় শ্রী সিমেন্ট। কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল করে বেরিয়ে যান আদানি।
রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুদের আরও ধনী করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের দীর্ঘস্থায়ী প্রবণতা আমরা লক্ষ করছি। ইডি এবং সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিরোধী দলগুলিকে ভাঙতে এবং বিরোধী-শাসিত সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।”