বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দলবদল করতেই হাতে গরম পুরষ্কার। কন্নড় রাজ্যের হেভিওয়েট লিঙ্গায়েত নেতা ও বিজেপি মন্ত্রীসভার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদিকে (Laxman Savadi) আথানি কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করল কংগ্রেস। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। আর শনিবার কংগ্রেসের তরফে যে ৪৩ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয় তাতে প্রথম নামই রয়েছে সাভাদির।
২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় এখনও পর্যন্ত ২০৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস (Congress)। এখনও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় প্রায় সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের দুই প্রভাবশালী গোষ্ঠী লিঙ্গায়েত এবং ভোক্কালিগাদের। ৪৭ জন লিঙ্গায়েত এবং ৪৩ জন ভোক্কালিগা টিকিট পেয়েছেন। ১২ জন মুসলিমও টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে দলত্যাগীদের যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী করা হচ্ছে তাতে হীতে ফল বিপরীত হবে না তো? গত বিধানসভার মতো ভোটে জয়ী হওয়ার পর ফের দলত্যাগ করবেন না তো এই প্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: নিজেকেই ধ্বংস করছিল শরীর! কিশোরীকে বাঁচালেন বাঙুরের চিকিৎসক]
কর্ণাটকে বিজেপি মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদির পর ফের শাসকদলকে ধাক্কা দিয়েছে কংগ্রেস। চিক্কাবল্লাপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কে সুধাকর। কিন্তু এই কেন্দ্রটি বালিজা সম্প্রদায় অধ্যুষিত। শনিবার কংগ্রেসের তরফে প্রকাশিত তৃতীয় তালিকায় এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে বালিজা সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় নেতা প্রদীপ এসআর আইয়ারকে। কংগ্রেস প্রদীপকে দলে টেনে বিজেপির নিশ্চিত কেন্দ্র চিকাবল্লাপুর আসনটিকে নিজেদের পকেটে নেওয়ার মোক্ষম চাল দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ‘মদমুক্ত’ বিহারে ফের বিষমদে মৃত্যুমিছিল, মৃত ১৬, আশঙ্কাজনক ৪৮]
আবার দু’টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে এআইসিসি (AICC)। মাহীশূরুর বালুনি আসন থেকেই তাঁকে লড়তে হবে। দ্বিতীয় কোলার আসন থেকে প্রতিদ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলেও এবার অন্তত তা হচ্ছে না। কারণ জনতা দল ইউনাইটেড (JDS) ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক শ্রীনিবাস গৌড়া। তাঁকে কোলার থেকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।