সোমনাথ রায়: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় সমমনোভাবাপন্ন অন্য দলগুলিকেও আহ্বান করল কংগ্রেস(Congress)। শুধু অন্য দলগুলি নয়, অন্যান্য সংস্থা, বিশিষ্ট ব্যক্তি যাদেরই মনে হচ্ছে দেশের গণতন্ত্র বিপদে তাঁদের সকলকেই দলের এই বৃহৎ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সদর দপ্তরে দিগ্বিজয় সিংয়ের নেতৃত্বে আলোচনায় বসেছিলেন ভারত জোড়ো কমিটির সদস্যরা। সেখানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন প্রদেশ সভাপতিও। ঠিক হয়েছে ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার ধরে চলবে এই যাত্রা। যার পুরোটাই হবে পায়ে হেঁটে। শুধু গান্ধী পরিবার নয়, মিছিলে প্রতিমুহূর্তে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের নেতারা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে এই যাত্রার সূচনা হবে। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের খবর, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আগেই এই যাত্রার সূচনা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: মসনদে বসেই বিজেপির নীতি অনুসরণ শিণ্ডের, এক ধাক্কায় অনেকটা কমালেন পেট্রল-ডিজেলের দাম]
একদিকে যখন স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি, তখন এর পালটা বিজেপির (BJP) শাসনকালকে ব্রিটিশ আমলের থেকেও ভয়ংকর এই তত্ত্ব সামনে রেখে স্বাধীনতা দিবসের আগেই এই কর্মসূচি নিতে পারে কংগ্রেস। মে মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিনে নব সংকল্প শিবিরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিজেপির হাত থেকে দেশ, সংবিধান, সমাজ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে উদ্ধার করতে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) জন্মদিবসের দিন থেকে দেশ জুড়ে শুরু হবে ভারত জোড়ো যাত্রা। সাম্প্রতিক সময়ে এত বৃহৎ জনসংযোগের কর্মসূচি গ্রহণ করেনি কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ‘চাকরির জন্য মায়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না’, মন্তব্য বম্বে হাই কোর্টের]
বৈঠক শেষে জয়রাম রমেশ বলেছেন, “যাঁরা মনে করেন, গণতন্ত্র বিপদে সামাজিক ঐক্য সমস্যার মুখে তাঁদের এই যাত্রায় যোগ দিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।” কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh) জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির আসল উদ্দেশ্য হল, সব বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় করতে পুরো শোভাযাত্রাই পায়ে হেঁটে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। প্রতিদিন ২৫ কিলোমিটার করে হাঁটা হবে। মিছিল শেষে একটি করে জনসভা হবে। ঠিক হয়েছে গান্ধী পরিবারের সদস্যরা তো বটেই দলের সবস্তরের নেতারা থাকবেন এই মিছিলগুলিতে। তবে রাহুল গান্ধী এই মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। দলীয় সূত্রের খবর, রাহুল নাকি দলের অন্দরে বার্তা দিয়ে দিয়েছেন এই মিছিল রাহুল কেন্দ্রিক না করে কংগ্রেস কেন্দ্রিক করা হোক।