সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে প্রায় ৩ টন। তারপর ৫২ কেজি। মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানে গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর (Mundra Port) থেকে দু’দফায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মাদক। এই বন্দরটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আবার রয়েছে আদানি গোষ্ঠী। আর শুধু মুন্দ্রা কেন, পিপাভভ বন্দর (Pipavav Port) এবং উপকূলবর্তী বহু এলাকা থেকে গত কয়েকমাসে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে লাগাতার এভাবে মাদক উদ্ধারকে হাতিয়ার করে এবার আসরে নামল কংগ্রেস। হাত শিবিরের প্রশ্ন, গুজরাট কেন দেশের ‘গেটওয়ে অফ ড্রাগস’ হয়ে উঠছে?
আসলে বৃহস্পতিবারই আদানিদের তত্তাবধানে থাকা মুন্দ্রা বন্দর থেকে ৫২ কেজি কোকেন উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী। যার আনুমানিক অর্থমূল্য ৫০০ কোটি টাকা। ইরান থেকে লবণ রপ্তানির নামে ওই মাদক পাচার করা হচ্ছিল। কিন্তু, রাজস্ব বাহিনীর তৎপরতায় সেই মাদক উদ্ধার হয়ে যায়। কিন্তু ঘটনা হল গুজরাটের ওই বন্দরে এই মুহূর্তে ইরান থেকে আসা কার্গোর পণ্য খালাস নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও কীভাবে ওই বন্দরে পণ্য খালাস করা হল, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: কেউ ভিআইপি নয়, আরও ৪২৪ প্রভাবশালীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল পাঞ্জাবের AAP সরকার]
কংগ্রেস (Congress) মুখপাত্র পবন খেরা এদিন বলেছেন,”গুজরাটের উপকূল থেকেই সব ড্রাগ উদ্ধার হচ্ছে। কখনও পিপাভভ বন্দর থেকে, কখনও আদানির মুন্দ্রা বন্দর থেকে। গুজরাট কেন ভারতের ‘গেটওয়ে অফ ড্রাগস’ হয়ে উঠছে। আর এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নীরব কেন? কংগ্রেস মুখপাত্র বলছেন, আমরা এ নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করছি না। আমরা শুধু ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত।”
[আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে বিমানে উঠতে বাধা, ইন্ডিগোকে মোটা অঙ্কের জরিমানা]
প্রসঙ্গত, আদানি (Adani) গোষ্ঠী পরিচালিত গুজরাটের (Gujarat) মুন্দ্রা বন্দরে সেপ্টেম্বর মাসেই ১৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মাদক উদ্ধার হয়। তারপরই আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে কোনও কার্গো কন্টেনার আর খালাস করতে দেওয়া হবে না তাদের বন্দরে। শুধু তাই নয়, ওই মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এনআইএ তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, এনআইএ এতদিন তদন্তে কী পেল? এতদিনের তদন্তের পরও কীভাবে ফের ড্রাগ ঢুকছে ভারতে?