সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিতে পারে কংগ্রেসই। ব্রিগেড সমাবেশের পরদিনই বিরোধী জোটের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন লালুপুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। শনিবারই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বিজেপি সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিল ২২ টি বিরোধী দল। সব বিরোধী নেতাদের মুখেই শোনা গিয়েছিল এক সুর। বিজেপি বিরোধিতাই এখন প্রথম এবং প্রাথমিক লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন বা বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবেন, সেটা পরে ভাবা যাবে। কিন্তু, একদিনের মধ্যেই মত বদলে ফেললেন বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, সারা দেশে সাংগঠনিক শক্তির বিচারে কংগ্রেসই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার পূর্ব অভিজ্ঞতাও কংগ্রেসের রয়েছে। তাই বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কংগ্রেসই সেরা বিকল্প।
[ব্রিগেডেই প্রশস্ত বহিষ্কারের পথ, বড়সড় শাস্তির মুখে শত্রুঘ্ন]
তৃণমূল নেতারা বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন একাধিকবার। এবার দিল্লিতে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, রাজ্যজুড়ে এই জিগির তোলার চেষ্টাও হয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য এবং দেশের তাবড় বিরোধী নেতাদের এক ছাতার তলায় আনার কাজটি সফলভাবে করার পর মমতার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও দাবি ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের। অন্যদিকে, আগের তুলনায় নমনীয় মনোভাব দেখালেও এখনও রাহুল গান্ধীকেই বিরোধী জোটের নেতা হিসেবে দেখতে চাইছেন কংগ্রেস নেতারা। এই পরিস্থিতিতে তেজস্বীর মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই, ডিএমকে নেতা এম কে স্টালিন ঘোষণা করেছেন, ২০১৯-এ বিরোধী জোটের নেতা হবেন রাহুল গান্ধী। শরদ পাওয়ারও কমবেশি এই সুরেই কথা বলেছেন। এদিন তেজস্বীর মুখেও সে কথা শোনা গেল।
[মোদির সমালোচনা করে জেল খাটছেন, মণিপুরের সাংবাদিককে চিঠি রাহুলের]
তবে, কংগ্রেসের প্রশংসা করলেও রাহুল গান্ধীদের সাবধান করতে ভোলেননি বিহারের তরুণ তুর্কি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে জোট তৈরিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব দিলে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু ওদেরকেও বিভিন্ন রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে হবে। নেতৃত্ব দিতে হলে কংগ্রেসকে আরও উদার হতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’
The post বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে পারে কংগ্রেসই, ব্রিগেডের পরদিন ঘোষণা তেজস্বীর appeared first on Sangbad Pratidin.