সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে কংগ্রেস। মেঘালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বক্তব্য, কংগ্রেসে থাকলে লড়াইটা করা যায় না। কংগ্রেস (Congress) আমাদের বহিষ্কার করেছিল কারণ আমরা ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম।
বস্তুত, গোয়া-ত্রিপুরার (Tripura) মতো মেঘালয়ের মাটিতেও কংগ্রেসের বড়সড় ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। মেঘালয় কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতাই যোগ দিয়ে ফেলেছেন তৃণমূলে। মমতা এবার চাইছেন মেঘালয়ের কংগ্রেসি ভোটারদের মন জয় করতে। সম্ভবত সেকারণেই মেঘালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করতে শোনা গেল তৃণমূল (TMC) নেত্রীকে। প্রশ্ন করলেন, কংগ্রেসের ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার কোথায়? ওরা তো লড়াইটাই করতে পারে না।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের হাত ধরেই মেঘালয়ে নতুন সূর্য উঠবে’, পাহাড়ি রাজ্যে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]
মমতা (Mamata Banerjee) নিজের কংগ্রেস ত্যাগের প্রসঙ্গ মনে করিয়ে বলেন, “আমাদের বহিষ্কার করেছিল, কারণ আমরা লড়াই করছিলাম। আজও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আজও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। রোজ বিজেপি ইডি-সিবিআই (CBI) দিয়ে আমাদের কড়া নাড়ছে। বিজেপি মনে করা সবাই ওদের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত। তবু তৃণমূল লড়ছে।” এদিন মেঘালয়ের (Meghalaya) সভা থেকে মমতা বিজেপি (BJP) এবং কংগ্রেসকে কার্যত একাসনে বসিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, মেঘালয়কে দিল্লি থেকে যেমন বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, তেমনি কংগ্রেসও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে ইতিহাস, জাতিভেদকে নিষিদ্ধ করল এই শহর]
বস্তুত অতীতেও একাধিকবার ভিনরাজ্যে কংগ্রেসের ভোটবাক্সে ভাগ বসিয়ে শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। আবার সেই কংগ্রেসের জন্যই শেষমুহূর্তে গোয়ার ভোটারদের নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করতে পারেনি এরাজ্যের শাসকদল। ত্রিপুরাতেও শুরুটা ভাল হলেও, ভোটের আগে কংগ্রেস-সিপিএমের (CPIM) জোটের জন্যই খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যেতে হয়েছে তৃণমূলকে। শেষবেলায় মেঘালয়ে যাতে তেমন না হয়, কংগ্রেস-তৃণমূলের ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি বা এনপিপি যাতে সুবিধা না পেয়ে যায়, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।