সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ব্যস্ত দেশ। লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড়সড় যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অথচ তাঁর সরকারই বিদ্ধ দুর্নীতির অভিযোগে। সম্প্রতি মোদি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে CAG। আর তাতেই মাথাব্যাথা বাড়ছে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের।
CAG’র ওই রিপোর্টে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মোট আটটি বড়সড় বেনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতমালা প্রকল্পের বরাদ্দ রাতারাতি ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ৮ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকা করা। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের বরাদ্দ প্রতি কিলোমিটারে ১৮ কোটি থেকে বাড়িয়ে ২৫০ কোটি করা। ১৫৪ কোটি টাকা নিয়ম বিরুদ্ধভাবে টোল আদায়। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তার পেনশন প্রকল্প থেকে ২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা অন্য প্রকল্পের প্রচারে খরচ। হ্যালে প্রায় ১৫৯ কোটির লোকসান।
[আরও পড়ুন: ‘নারীদের হাত ধরেই দেশের উন্নতি হবে’, স্বাধীনতা দিবসে বার্তা মোদির, পতাকা উত্তোলন মমতার]
এই অভিযোগগুলি নিয়েই এবার সরব হওয়া শুরু করেছে বিরোধীরা। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, স্রেফ ভারতমালা প্রকল্পে এই দুর্নীতির অঙ্কটা গিয়ে দাঁড়াবে সাড়ে ৭ লক্ষ কোটিতে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সোমবার বলেছেন, “মোদি সরকার দুর্নীতির ৭৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।’’ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য, “বিজেপির দুর্নীতি ও লুট গোটা দেশকে নরকের পথে ঠেলে দিয়েছে।” কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশও (Jairam Ramesh) বলছেন, দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলা বন্ধ করে, আত্মসমীক্ষা করুক মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে ফের অঞ্জু কাণ্ডের ছায়া, প্রেমিকের সঙ্গে কুয়েতে পাড়ি দিলেন দুই সন্তানের মা]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইউপিএ (UPA) সরকারের শেষ দু’বছরে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এই ক্যাগ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই। সেই সব দুর্নীতির অভিযোগের দায় এখনও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। এবার সেই ক্যাগ রিপোর্টেই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।