shono
Advertisement

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত Congress, একাধিক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের পদ নিয়ে টানাপোড়েন

মাত্র ৩ রাজ্যে একক শক্তিতে ক্ষমতায় কংগ্রেস, সেখানেও চরমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
Posted: 08:59 AM Aug 27, 2021Updated: 08:59 AM Aug 27, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসমর্থন তলানিতে। একাধিক হাতেগরম ইস্যু থাকলেও পথে নেমে আন্দোলন করতে পারছে না দল। অথচ, এসবের মধ্যেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কংগ্রেস (Congress)। এই মুহূর্তে দেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী আছে মোটে তিন রাজ্যে। ঘটনাচক্রে এই তিন রাজ্যেই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। যার মধ্যে পাঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়ের সমস্যা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও মিটছে না।

Advertisement

পাঞ্জাবে সিধুকে (Navjot Singh Sidhu) প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নিয়োগ করার পরও মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের (Captain Amrinder Singh) সঙ্গে তাঁর বিবাদ মিটছে না। বরং ক্ষমতা পাওয়ার পর আরও আক্রমণাত্মক সিধু। তাঁর শিবিরের নেতারা প্রায় প্রতিদিনই সরকারের কাজের সমালোচনা করছেন। এবং সেটা প্রকাশ্যে। পরিস্থিতি এমনই যে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সিধুকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পর তিনি যে চারজনকে উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন, তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে। নাহলে কেন্দ্রীয় নেতারাই সেটা করবেন। এদিকে, এসব বিবাদের মধ্যে গতকাল ক্যাপ্টেনের ডাকা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ মন্ত্রী। তারপরই আবার নিজের ক্ষমতা প্রমাণে আসরে নেমেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। দলের ৫৫ জন বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে পাঞ্জাব কংগ্রেসে টানাপোড়েন অব্যাহত।

[আরও পড়ুন: ‘উপনির্বাচন হবে সময়মতোই’, কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আশাবাদী TMC সাংসদরা]

একই পরিস্থিতি ছত্তিশগড় কংগ্রেসে। এখানেও এককভাবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল হাত শিবির। ধারেকাছে ছিল না কেউ। কিন্তু এখানেও সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের (Bhpesh Baghel) নেতৃত্ব একপ্রকার অস্বীকার করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা টি এস সিং দেও। তাঁর নজর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদে। ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দুই নেতার সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলেছেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ফের দুই নেতাকেই দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেতার মতো আচরণ করছেন খোদ রাষ্ট্রপতি! বিস্ফোরক অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির]

বিজেপি যখন ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তখন কংগ্রেস নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতেই ব্যস্ত। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা সলমন খুরশিদ বলছেন, আমরা তো নিজেদের মধ্যে লড়াইয়েই ব্যস্ত। বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়ব কীভাবে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement