সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে পুজা ভাট (Puja Bhat), অমল পালেকর-সহ (Amal Palekar) একাধিক বলি অভিনেতাকে। মঙ্গলবার বিজেপি (BJP) অভিযোগ করেছে, অর্থের বিনিময়ে কংগ্রেস (Congress) নেতার ‘যাত্রা’ সঙ্গী হয়েছে রুপোলি পর্দার কুশিলবরা। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে গেরুয়া শিবিরের তরফে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা তুলে ধরা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্য তথা সর্বস্তরের সমর্থন দেখে আতঙ্কিত হয়ে আবোলতাবোল বকছে পদ্মবাহিনী।
দেশের দক্ষিণ ভাগ থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়ো যাত্রা মহারাষ্ট্রে পৌঁছায় সম্প্রতি। সেখানেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে, অমল পালেকর, পূজা ভাট, রিয়া সেন, সুশান্ত সিং, রেশমি দেশাই প্রমুখকে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে গেরুয়া নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) বলেন, নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীর পুনুরুত্থান হয়নি। এই যাত্রার সমস্ত সাফল্য কংগ্রেসের তৈরি করা। অর্থ ঢেলে যাত্রাকে প্রচারের আলোয় আনা হচ্ছে। এরা কারা, যাঁরা পয়সার বিনিময়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাঁটলেন?
[আরও পড়ুন: কেটে টুকরো টুকরো করবে আফতাব! দু’বছর আগেই পুলিশকে জানান শ্রদ্ধা, প্রকাশ্যে বিস্ফোরক চিঠি]
বিজেপি যে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাটি বাজারে ছেড়েছে সেখানে বলা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের নেতার সঙ্গে ১৫ মিনিট হাঁটলে উপযুক্ত অর্থ প্রদান করা হবে। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজটি নামহীন। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন, জানিয়েছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা শচীন সাওয়ান্তের মন্তব্য, এটা স্পষ্ট যে যাত্রাকে কলুষিত করতে কতটা তৎপর গেরুয়া শিবির। অর্থহীন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার ছবি দেখাচ্ছে ওরা। যার না আছে ফোন নম্বর, না আছে কোনও নাম। সেলিব্রিটিদের দিয়ে কৃত্রিম সমর্থন আদায় তো বিজেপির শিল্প ও সংস্কৃতি। মুখ খুলেছেন বলি অভিনেত্রী পূজা ভাট। বিজেপিকে তাঁর জবাব, “সংখ্যা গরিষ্ঠতা আর যাই হোক মানুষের বিবেককে কিনে নিতে পারে না।”
[আরও পড়ুন: ‘কাতারকে কড়া বার্তা দেবে ভারত’, জাকির নায়েকের বক্তৃতার বিরোধিতায় সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
বলি সেলিব্রেটিদের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে মেধা পাটেকরের সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। গুজরাটের ধোরাজির জনসভায় মোদিকে বলতে শোনা যায়, ”কংগ্রেসের এক নেতা সেই মহিলার সঙ্গে পদযাত্রা করছেন, যিনি তিন দশক ধরে নর্মদা বাঁধ প্রকল্পকে বাধা দিয়ে গিয়েছেন। যখন ভোট চাইবে, তখন কংগ্রেসকে আপনারা জিজ্ঞাসা করে নেবেন, কেন তারা সেই মানুষের কাঁধে হাত রেখে হেঁটেছে যিনি নর্মদা বাঁধের বিরোধী ছিলেন।”