সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার বাঁচাতে দলের বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর এক রিসর্টে জড়ো করে রেখেছে কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও কমছে না অস্বস্তি। বিজেপির দাবি, ওই রিসর্টে নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন দুই কংগ্রেস বিধায়ক। আর এর জেরে একজনকে হাসপাতালেও ভরতি করতে হয়েছে। যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কর্ণাটকের কং-নেতারা প্রথম থেকেই মারামারির খবর অস্বীকার করে আসছেন। তাদের দাবি, একজন বিধায়কের বুকে ব্যাথা তাই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে।
[এবার মহাজোটকে ‘নেগেটিভ’ বলে আক্রমণ নরেন্দ্র মোদির]
কন্নড় রাজ্যের রাজনীতিতে এখন তুঙ্গে গড়া ভাঙার খেলা। কদিন আগেই কংগ্রেস অভিযোগ করছিল তাদের তিন জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। কর্ণাটকের সরকার দ্রুত পতনের পথে বলে দাবি করে বিজেপি। নিজেদের সব বিধায়ককে একত্রিত করতে মুম্বইয়ের রিসর্টে সরিয়ে নেয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু, এরপর পরিস্থিতি বদলায়। ফিরে আসনে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই তিন বিধায়কের দু’জন। বিজেপির ‘অপারেশান লোটাস’ ব্যর্থ হয়েছে। বিধায়করা ফেরার পর, নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করার জন্য বেঙ্গালুরুর এক রিসর্টে সব বিধায়কদের একত্রিত থাকার নির্দেশ দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
[বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে পারে কংগ্রেসই, ব্রিগেডের পরদিন ঘোষণা তেজস্বীর]
বিজেপির দাবি, সেখানেই নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দুই বিধায়ক। মাথায় বোতলের ঘায়ে এক বিধায়ক আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। হোটেল এবং কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিধায়ক আনন্দ সিংহকে মাথায় বোতল দিয়ে আঘাত করেন বিধায়ক জে এন গণেশ। তার জেরে আনন্দ সিংহ বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি। রবিবার সকালে বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতাকে হাসপাতালের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। প্রভাবশালী নেতা ডি কে সুরেশ অবশ্য দাবি করেছেন, আনন্দ সিংহর বুকে ব্যথা হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, কংগ্রেস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সত্যি প্রকাশ্যে আসবেই। আসলে নিজেদের বিধায়কদের আটকে রাখতে পারছে না কংগ্রেস, উলটে বিজেপিকে দোষারোপ করছে দলে ভাঙন ধরার জন্য, দাবি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের।
The post সহকর্মীর মার খেয়ে হাসপাতালে কংগ্রেস বিধায়ক, কর্ণাটকে তুঙ্গে নাটক appeared first on Sangbad Pratidin.