সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই বিহার নির্বাচন (Bihar Election 2020)। ক্ষমতা ধরে রাখতে কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি তথা এনডিএ জোট। এই পরিস্থিতিতে বলিউড অভিনেতার মৃত্যুকেই নির্বাচনী হাতিয়ার করতে চাইছে তাঁরা। ভোট প্রচারে শুরু থেকেই তাই সুশান্তের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন বিজেপি নেতারা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন BJP সাংসদ তথা অভিনেতা মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari)। শুধু ভোটের প্রচারে এসে বলিউড অভিনেতার মৃত্যুর প্রসঙ্গই টানলেন না। সেই সঙ্গে সরাসরি কংগ্রেসকে (Congress) দায়ী করে বসলেন।
সম্প্রতি বিহারের (Bihar) বাঁকে জেলায় ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারি। নিজের পুরনো গান ‘জিয়া ও বিহার কে লালা’র রিমেক করা ‘শুনা হো বিহার কে ভাইয়া’ গানটি প্রকাশ করেন। তারপর ভাষণ দিতে উঠেই টেনে আনেন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনাকে। বলিউড অভিনেতার মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী করেন কংগ্রেসকে। পাশাপাশি তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের তৎপরতায় সুশান্ত মৃত্যুতে এফআইআর দায়ের হয় এবং তদন্তও শুরু হয়। এরপরই এনডিএ জোটকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
[আরও পড়ুন: বিহার ভোটেও মোদির হাতিয়ার সেই ৩৭০ ধারা, বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন রাহুল-তেজস্বীর]
তবে অনেকেই আবার তাঁর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোট জিততে এটাই এখন বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার।
উল্লেখ্য, সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুতে খুনের তত্ত্ব পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স তথা এইমস (AIIMS)। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সুধীর গুপ্ত জানিয়ে দিয়েছেন, আত্মহত্যাই করেছেন বলিউড অভিনেতা। এবার এইমসের সেই মেডিক্যাল রিপোর্টটি পুনর্মূল্যায়ণ করার আরজি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy)। তাঁর চিঠিতে তিনি এইমসের রিপোর্টের কিছু ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন।
[আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় নিয়মিত মাকে ‘মারধর’, ক্ষোভে বাবাকে পিটিয়ে খুন ভোপালের নাবালিকার!]
বৃহস্পতিবার এক টুইটে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, ‘‘যদি সুশান্ত সিং রাজপুতের ময়নাতদন্ত সম্পর্কে ড. সুধীর গুপ্তর কমিটির পর্যালোচনার পুর্নমূল্যায়ণের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও সাড়া না পাই, তাহলে আমার অধিকার রয়েছে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করার। অনুচ্ছেদ ১৯ এবং ২১-এর অধীনে আমার জানার অধিকার রয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবন কেমন বঞ্চনার শিকার হয়েছিল তা জানার এবং দ্রুত বিচারের আবেদন জানানোর।’’