সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাধা আছে। তবে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবেই। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলাকালীন কোহিমাতে বসে কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের তরফে প্রদেশ নেতৃত্বগুলিকে বার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ যাই হোক না কেন, সম্ভাব্য জোটসঙ্গীদের কোনওভাবেই চটানো যাবে না। এই সম্ভাব্য জোটসঙ্গীদের তালিকায় যে তৃণমূলের নামও রয়েছে সেটাও রাহুলের টিমের বার্তায় স্পষ্ট।
বাংলায় তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোটের বিষয়টি এখনও ঝুলে। কারণ, বঙ্গে কংগ্রেসের দাবি অন্তত ৬ আসন। তৃণমূল নেতৃত্বও বুঝিয়ে দিয়েছে, দলনেত্রী আগেই কংগ্রেসের (Congress) জেতা ২ আসন ছাড়ার কথা বলেই রেখেছেন। এর বাইরে নতুন করে আসন সংখ্যা নিয়ে আর দর কষাকষির জায়গা নেই। যদি তা হয়ও, সে সব করতে হবে একেবারে শীর্ষস্তরে, অর্থাৎ সোনিয়া-মমতা কথোপকথনেই তা একমাত্র সম্ভব। এসবের মধ্যে আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রায় নিয়মিত মমতার মুন্ডপাত করছেন। খুব সম্প্রতি সন্দেশখালি ইস্যুতেও অধীর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে একপ্রস্ত বিবাদ হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সিমকার্ড, ইন্টারনেট ছাড়াই ফোনে চলবে ভিডিও! প্রয়ুক্তিতে ‘বিপ্লব’ আনবে কেন্দ্র]
কোহিমাতে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল প্রকাশ্যেই বলেন, “অধিকাংশ রাজ্যে জোট প্রক্রিয়া মসৃণ। দু’একটি জায়গাতেই একটু বেশি জটিলতা রয়েছে। তবে সেটা মিটে যাবে।” আসলে রাহুল (Rahul Gandhi) তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনার পক্ষে। সূত্রের খবর ওই সাংবাদিক বৈঠকের পরই প্রদেশ নেতাদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, কোনও সম্ভাব্য জোটসঙ্গীকে চটানো যাবে না। বা জোটের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নষ্ট হয়, এমন মন্তব্য করা যাবে না। সরাসরি অধীরের নাম না নিলেও সেই বার্তা যে তাঁর জন্যও তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
[আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকারেও ‘বঞ্চিত’, সরকারি পরিষেবা দিতে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চাই-ই। বিজেপিকে হারাতে হলে মমতার কৌশল হাতছাড়া করা যাবে না, এই বার্তা প্রদেশ নেতৃত্বকে আগেই দিয়ে দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। এবার রাহুলও ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, মমতাকে সঙ্গে চায় কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে অধীররা কোন দিকে যান, সেটাই দেখার।