সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের (Parliament Winter Session) শুরুতেই মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা। সোমবার অধিবেশন শুরু হতেই আদানি ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে হইচই বাঁধান বিরোধীরা। তার জেরে প্রথমে একঘণ্টার জন্য রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি রাখা হয়। পরে জানা যায়, আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতুবি থাকবে সংসদের উচ্চকক্ষের অধিবেশন। অন্যদিকে, দুদিনের জন্য মুলতুবি হয়েছে লোকসভার অধিবেশনও।
সোমবার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই বলেন, "মুষ্টিমেয় কিছু লোক গুন্ডামি করে সংসদকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সংসদের কার্যকলাপ বন্ধ করে তাঁদের লাভ কিছুই হয় না, যেটা হয় তা হল জনতা ওদের থেকে আরও দূরে সরে যায়।" নাম না করে বিরোধীদেরই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদির এই ভাষণের পরেই আদানি ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে সংসদে সুর চড়ান বিরোধী দলের সাংসদরা। স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তার পরেই সারাদিনের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। আগামীকাল সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ যৌথ অধিবেশনে বসবে সংসদের দুই কক্ষ। ফলে আলাদা করে দুই কক্ষে অধিবেশন হবে না। আগামী বুধবার সকাল ১১টার সময়ে ফের অধিবেশন শুরু হবে লোকসভা এবং রাজ্যসভায়।
উল্লেখ্য, সংসদের কাজকর্ম যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য বিরোধী শিবিরের কাছে সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী। রবিবার সর্বদল বৈঠকেও বিরোধীদের সহযোগিতা চাওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু শীতকালীন অধিবেশনে একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চলেছে বিরোধীরা। আদানির ঘুষ কেলেঙ্কারি, মণিপুর, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে গায়ের জোরে নিয়ম ভেঙে ওয়াকফ বিল পাস করিয়ে নেওয়া, দিল্লির ভয়ানক দূষণ- সমস্ত কিছু নিয়েই সরব হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাহুল গান্ধীদের। তবে অধিবেশনের প্রথম দিনেই আদানি ইস্যুতে আলোচনার বদলে মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের দুই কক্ষ।