সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগে একের পর এক নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যে বেকায়দায় কংগ্রেস। রাজ বব্বরের পর এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিলাশ মুত্তেমওয়া। মহারাষ্ট্রের এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। মুত্তেমওয়ার প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর পাঁচ পুরুষের নাম সবাই জানে, মোদির বাবার নাম কী? মোদি কংগ্রেসের কাছে হিসেব চায় কোন অধিকারে?
[এবার ইন্দিরা গান্ধীকেও প্রতারক বললেন প্রধানমন্ত্রী!]
দিন কয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রাজ বব্বর একটি জনসভায় বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, “দিনের পর দিন টাকার দাম যেভাবে পড়ছে, তা খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর মায়ের বয়সকে ছুঁয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে মন্তব্য করায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা হয় রাজ বব্বরের। এর রাজনৈতিক ফায়দাও তোলেন মোদি। একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবে আমার মোকাবিলা করতে পারছে না, তাই আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে।” কিন্তু রাজ বব্বরের ভুল থেকেও শিক্ষা নেননি কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা। এবার ফের বিতর্কিত মন্তব্য এল আরেক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছ থেকে। রাজস্থানের এক কর্মীসভায় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বিলাশ মুত্তেমওয়াকে বলতে শোনা গেল, “মোদি কংগ্রেসের কাছে হিসেব চাইছে কোন অধিকারে, ওর বাপের নাম কী? রাহুল গান্ধীর বাবার নাম রাজীব গান্ধী, সেটা সবাই জানে। রাজীব গান্ধীর মায়ের নাম ইন্দিরা গান্ধী, সেটা সবাই জানে। রাহুল গান্ধীর পাঁচ পুরুষের নাম সবাই জানে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির বাপের নাম কেউ জানে? সবাই শুধু নরেন্দ্রকেই চেনে।”
[‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’কে পিছনে ফেলে এবার উচ্চতম রাম মূর্তি অযোধ্যায়]
ভোটের আগে একের এক বেফাঁস মন্তব্যে রীতিমতো বিপাকে রাহুলের দল। ইতিমধ্যেই সি পি জোশীর জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্য নিয়ে একপ্রস্থ বিতর্ক হয়েছে। পরে রাহুলের নির্দেশে ক্ষমা চেয়ে নেন সি পি জোশী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ বব্বর, বিলাশ মুত্তেমওয়ারা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তাঁর হাতেই অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। এর আগেই নিজেকে চা-ওয়ালার ছেলে বলে দাবি করে বিস্তর সহানুভূতি আদায় করেছেন মোদি। এই মন্তব্যের পর আবারও তিনি সেই পথে হাঁটতে পারেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
The post ফের ব্যক্তিগত আক্রমণ, প্রধানমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার appeared first on Sangbad Pratidin.