বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়া দিল্লি: রায়পুরগামী বিমান থেকে আচমকাই নামিয়ে দেওয়া হল কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে। তারপরেই দিল্লি বিমানবন্দরের (Delhi Airport) টারম্যাকে বসে প্রতিবাদ শুরু করেন ৫০ জন কংগ্রেস (Congress) নেতা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পবনকে (Pawan Khera) গ্রেপ্তার করতে ইতিমধ্যেই দিল্লি রওনা হয়েছে অসম পুলিশের একটি দল। এফআইআরের কপি দেখিয়েই পবনকে বিমান থেকে নামানো হয়েছে বলে বিমান সংস্থার সূত্রের দাবি। তবে শেষ পর্যন্ত অসম পুলিশের অনুরোধে দিল্লি পুলিশই গ্রেপ্তার করে পবন খেরাকে।
জানা গিয়েছে, প্লেনারি সেশনে যোগ দিতে ৫০ জন কংগ্রেস নেতা রায়পুরের বিমানে উঠেছিলেন। বোর্ডিং পাস থাকা সত্বেও আচমকাই নেমে যেতে বলা হয় খেরাকে। তাঁর লাগেজ নিয়ে সমস্যা আছে বলেই জানানো হয়। বিমান থেকে নেমে খেরাকে বলা হয়, পুলিশ এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। এই কথা শোনার পরেই বিমান থেকে নেমে পড়েন বাকি নেতারা। নজিরবিহীনভাবে বিমানবন্দরের টারম্যাকে বসেই প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: লাগে টাকা দেবে চিন, দেউলিয়া পাকিস্তানের ‘গৌরী সেন’ জিনপিং!]
কয়েকদিন আগেই আদানি বিতর্কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা খেড়া। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বাবার নাম ‘দামোদরদাস’ না বলে ‘গৌতমদাস’ বলেছিলেন তিনি। যদিও এই ঘটনাকে ভুল বলে দাবি করেন খেড়া। কিন্তু বিজেপির দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন খেড়া। গ্রেপ্তারির দাবিতে অসমের হাফলং থানায় এফআইআর করেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার পবন।
কংগ্রেস নেতাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরেই প্রতিবাদে সরব হয় দল। গুণ্ডার মতো আচরণ করছে মোদি সরকার, বলেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল। টুইট করে তিনি বলেন, “গুরুত্বহীন একটি এফআইআর ব্যবহার করে পবন খেরার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। লজ্জাজনক এহেন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না। পুরো দল খেরার পাশে রয়েছে।”