সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যুদিনেই চমক দিলেন রাজস্থানে (Rajasthan) কংগ্রেসের (Congress) তরুণ তুর্কি। জল্পনা ছিল রবিবার হাত ছেড়ে নিজের দল ঘোষণা করবেন শচীন পাইলট (Sachin Pilot)। এমনটাও ভাবা হচ্ছিল, মরুরাজ্যের গুজ্জর সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় নেতা রাজ্যের দৌসায় সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন নতুন দল ঘোষণার জন্যই। যদিও দলকে স্বস্তি দিয়ে এমন কিছুই করলেন না তিনি।বরং মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে দলে থাকারই ইঙ্গিত দিলেন।
রবিবার সকালে বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন শচীন। লেখেন, “আমার বাবা জীবনে কখনও আপস করেননি।” তরুণ নেতার এমন বক্তব্যে এদিন সকালেও সিঁদুরে মেঘ দেখে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বুঝি সত্যিই রবিবারের সভায় নিজের দল ঘোষণা করবেন তিনি। যদিও নতুন দল ঘোষণা করেননি তিনি। বরং বাবার স্মৃতিচরণায় বলেন, “মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই চলবে। বিশেষত রাজ্যের যুবদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।” শচীন বলেন, “যুবকদের অধিকার ও তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য আওয়াজ তুলেছিলাম আমি একা। সেই সময় নিজেকে একা বোধ করেছি। কিন্তু আপনারা আমার সঙ্গে ছিলেন।”
[আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানের স্ত্রীকে অর্ধনগ্ন করে ১২০ জন মিলে মার! চাঞ্চল্য তামিলনাড়ুতে]
এরপরেই সমঝোতার ইঙ্গিত দেন। তাঁর কথায়, “সরকার পরিচালনায় গাফিলতি হলে দোষারোপ না করে তা শুধরে নেওয়া উচিত।” বলেন, “কাউকে অপমান করার জন্য দাবি তুলিনি আমি। আপনাদের মত তুলে ধরেছি মাত্র।” বলা বাহুল্য শচীনের এই বক্তব্যে হাফ ছেড়ে বাঁচল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও শুরু থেকেই তরুণ নেতার দল ছাড়া এবং নতুন দল গঠনের জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছে দল। অন্যদিকে বিদ্রোহী শচীনকে নিরস্ত করতে দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কথা বলছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও। কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলট তনয়ের সম্পর্ক যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে শচীনকে আদৌ নিরস্ত করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বও।
প্রসঙ্গত, গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব সামলাতে গত ২৯ মে দিল্লিতে দুই নেতাকে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধী। যদিও এরপরেও পাইলট নিজের অবস্থান থেকে সরতে রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত শচীনের সিদ্ধান্তে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে রাজস্থানে শক্ত হল কংগ্রেসের জমি।