সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি দরবারের দখল নিয়ে তুঙ্গে কেন্দ্র বনাম কেজরি সরকারের লড়াই। দেশের শাসকদলকে ঘিরে ফেলতে আসরে নেমেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ও। রাজ্যসভায় মোদি সরকারের অধ্যাদেশ বাণ ভোঁতা করতে হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দল। তবে হাত শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে এনডিও সরকারের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত।
সংবাদ সংস্থা এএনআইর প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন সাংসদ তথা দিল্লির প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পূত্র সন্দীপ বলেন, “লোকসভায় ওরা (বিজেপি) সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই সেখানে এই বিল পাশ করাতে তাদের কোনও সমস্য হবে না। এই বিলটি পাশ হওয়া উচিত। দিল্লির সাংবিধানিক মর্যাদা মোতাবেক এতে কোনও গলদ নেই। বিলটির অপব্যাখ্যা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইন্ডিয়া জোটকেও বিভ্রান্ত করেছেন তিনি। তাই এক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। ক্ষমতায়নই যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে দিল্লিকে রাজ্য করে দেওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: দিল্লি দরবার কার? আমলাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে সুপ্রিম নির্দেশ উড়িয়ে অধ্যাদেশ মোদি সরকারের]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে কেজরি সরকারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তবে তা মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না দিল্লি কংগ্রেসের নেতারা। দলের অন্দরে অন্তর্দ্বন্দ তৈরি হয়েছে। সন্দীপ দীক্ষিতের বয়ানেও এটা স্পষ্ট, কোনও ইস্যুতেই কেজরিওয়ালকে সমর্থন করতে রাজি নন তাঁরা। দিল্লি কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “সোনিয়া গান্ধীকে গ্রেপ্তার করার দাবি তুলেছিলেন এই কেজরিওয়াল। পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলেছেন তিনি। আজ তাঁকে মদত দেব কেন।”
উল্লেখ্য, আজই লোকসভায় অধ্যাদেশটি পেশ হওয়ার কথা ছিল। সদন মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় আগামিকাল তা পেশ করা হবে। দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল নিয়ে রাজ্যসভায় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে রণকৌশল তৈরী করেছে ইন্ডিয়া জোট। বিলটিকে রাজ্যসভায় আটকে দেওয়াই জোটের লক্ষ্য। সেজন্য প্রয়োজনে জোটের কয়েকজন সাংসদ যাঁরা অসুস্থ রয়েছেন তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্সে করে অধিবেশনে যোগ দিয়ে ভোটাভুটিতে অংশ গ্রহণ করবেন এমন পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। দিল্লির এই অর্ডিন্যান্স রুখে দেওয়ার জন্য স্থানীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা ভুলে একজোট হয়েছে আপ এবং কংগ্রেস। দুই দলই তাঁদের সাংসদদের হুইপ জারি করে সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।