সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রামমন্দির উদ্বোধনে (Ram Mandir Inauguration) যাচ্ছেন না সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। যাবেন না কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge), লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের কথা। হাত শিবিরের মতে, মন্দির উদ্বোধন আসলে আরএসএস আর বিজেপির দলীয় কর্মসূচি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা তোলার জন্যই রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই সেখানে অংশ নেবেন না দলের নেতারা।
আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের (Congress) তিন নেতাকে। সোনিয়ারা কি আদৌ সেই অনুষ্ঠানে যাবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আগ্রহী ছিল গোটা রাজনৈতিক মহল। বুধবার সেই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের তরফে। সেখানে সাফ বলা হয়, “ধর্ম প্রত্যকের ব্যক্তিগত বিষয়। দেশের বহু মানুষ রামের উপাসনা করেন। কিন্তু বিজেপি আর আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই রামমন্দিরের প্রতিষ্ঠাকে নিজেদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা হিসাবে তুলে ধরেছে।”
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
কংগ্রেসের দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা তোলার জন্যই অসম্পূর্ণ রামমন্দিরের উদ্বোধন করছেন দুই দলের নেতারা। আরএসএস ও বিজেপির এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করছে কংগ্রেস। তবে রামমন্দির সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং ভগবান রামের প্রতি দেশবাসীর ভক্তিকে সম্মান করে দল। উল্লেখ্য, আমন্ত্রণ পাওয়ার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই ধোঁয়াশা ছিল।
আসলে উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে কংগ্রেস এবং বিজেপির (BJP) মুখোমুখি লড়াই। আর গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে হিন্দুত্বের রাজনীতি কতটা প্রভাবশালী তা সকলের জানা। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান পুরোপুরি বয়কট করা কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব নয়। আবার এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করলে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়তে পারে। কংগ্রেস মনে করছে, অনুষ্ঠানে যোগ দিলে কংগ্রেস কার্যত মোদির রাজনৈতিক কৌশলে ফেঁসে যেতে হবে। মোদি উদ্বোধনের সব আলো শুষে নেবেন আর কংগ্রেস নেতাদের হাততালি দিতে হবে। আবার অনুষ্ঠানে যোগ না দিলে কংগ্রেসকে হিন্দু বিরোধী হিসাবে প্রচার করা হবে। শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে না যাওয়ার পথেই হাঁটল হাত শিবির।