বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: বিজেপিকে হারাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার প্রস্তাবকে মান্যতা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল কংগ্রেস। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রদেশ সভাপতিদের নির্দেশ দিলেন রাহুল গান্ধী। প্রদেশ জোট জটিলতা কাটাতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্র তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করবেন। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই এড়াতে হবে বলে কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন রাহুল।
সম্প্রতি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ও তেজস্বী যাদবের (Tejaswi Yadav) সঙ্গে বৈঠকে একই জোট বার্তা দেন সোনিয়া-তনয় বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার ইন্ডিয়া (INDIA) জোট নিয়ে রাহুলের মনোভাব স্পষ্ট করেন দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। জোট প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঘর থেকেই পদক্ষেপ শুরু করল কংগ্রেস হাইকমান্ড। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির (Aam Aadmy Party) সম্পর্ক ‘সুমধুর’ বলেই পরিচিত। সম্প্রতি, দিল্লি আমলা নিয়ন্ত্রণ বিলকে কেন্দ্র করে দু’দলের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হয়। আপের সঙ্গে নতুন করে বিবাদে জড়াতে নারাজ মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীরা। তাই দিল্লি প্রদেশ কমিটির নয়া সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আপ-ঘনিষ্ঠ অরবিন্দর সিং লভলিকে।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে হিন্দুবিদ্বেষ? এবার রামচরিতমানসকে সায়ানাইডের সঙ্গে তুলনা বিহারের মন্ত্রীর]
শনিবার থেকে হায়দরাবাদে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের কর্মসমিতির দু’দিনের বৈঠক। বৈঠকের দ্বিতীয়দিনে বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে হাজির থাকবেন সব রাজ্যের সভাপতি ও চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সূত্রের খবর, প্রথমদিন ইন্ডিয়া জোটে দলের ভূমিকা, অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির প্রস্তাব ও জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে। সেইসঙ্গে ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের দলের রণকৌশল ও প্রচার পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে দলের ভূমিকা কী হবে সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। দলের সাধারণ সম্পাদক বেনুগোপাল এদিন বিজেপি বিরোধী অথচ ইন্ডিয়া জোটের বাইরে থাকা কে চন্দ্রশেখর রাওকে আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে মোদি (Narendra Modi) বিরোধী হিসাবে নিজেকে তুলে ধরলেও আদতে তিনি বিজেপির বন্ধুর ভূমিকা পালন করেন। সেই কারণেই বিআরএস (BRS) ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেয়নি। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিআরএসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
[আরও পড়ুন: পাহাড়চূড়ায় জঙ্গি বাঙ্কার! ৪ দিন পরেও লড়াই অব্যাহত অনন্তনাগে]
বৈঠকের দ্বিতীয় দিন কংগ্রেস হাইকমান্ড ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে দলের শীর্ষ ও প্রদেশ নেতৃত্ব। কারণ ওইদিন ইন্ডিয়া জোট নিয়ে দলের ভূমিকা ব্যাখ্যা করবেন সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কারা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল গান্ধী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ফর্মুলাকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যস্তরে জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রথমে প্রতিটি রাজ্যে আসন সমঝোতা করার দায়িত্ব প্রদেশ নেতৃত্বের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।