সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, নভেম্বরে যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে, তার চারটির ফলাফলই অনিশ্চিত। একমাত্র ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস অনায়াসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে পারে। আর বাকি রাজ্যগুলির ফলাফলের একেক রকম ইঙ্গিত মিলছে একেক সমীক্ষায়। রাজস্থান (Rajasthan), তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ তিন রাজ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একাধিক রাজ্যে ফলাফল ত্রিশঙ্কু হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ফিরছে রিসর্ট রাজনীতির জল্পনা।
কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, ফলাফল প্রকাশের পরই তেলেঙ্গানার কংগ্রেস বিধায়কদের সরিয়ে ফেলা হবে পাশের রাজ্য কর্ণাটকে। এমনিতে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, তেলেঙ্গানায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে কংগ্রেস। ১১৯ আসনের তেলেঙ্গানা বিধানসভায় কংগ্রেসের ষাটের বেশি আসন পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে অধিকাংশ জাতীয় সংবাদমাধ্যম। তবে কোনও কোনও সমীক্ষায় ইঙ্গিত সেরাজ্যে বিধানসভা ত্রিশঙ্কুও হতে পারে। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির AIMIM। কেসিআর (KCR) ঘোড়া কেনাবেচাতেও মাততে পারেন। তাই কংগ্রেস আগেভাগে বিধায়কদের সরিয়ে ফেলতে পারে কর্ণাটকে।
[আরও পড়ুন: রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়, ছত্তিশগড়ে শেষ হাসি কংগ্রেসের! বলছে এক্সিট পোল]
একই পরিস্থিতি হতে পারে রাজস্থানে। সেখানে অবশ্য অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপিকেই এগিয়ে রাখা হয়েছে। ২০০ আসনের বিধানসভায় লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে। কংগ্রেস মনে করছে শেষ পর্যন্ত বিধানসভা ত্রিশঙ্কুও হতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্দল এবং বিএসপি (BSP), আরএলপির মতো দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। দরকারে রাজস্থানে দলের বিধায়কদেরও রিসোর্টে নিয়ে যেতে পারে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে রাজস্থানের বিধায়কদের রাজ্যের বাইরে না নিয়ে গিয়ে উদয়পুরেরই কোনও রিসোর্টে রাখা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘কিছুই বিনামূল্যে দেওয়া উচিত নয়’, এবার সরকারি ভর্তুকির বিরোধিতায় সরব নারায়ণ মূর্তি]
তবে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে সেই ধরনের কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে ছত্তিশগড়ে অনায়াসে ক্ষমতায় ফিরবে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপিই। সম্ভবত সেকারণেই সেরাজ্যে বিশেষ পরিকল্পনা হাত শিবির করেনি।