সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লৌহ আকরিক চুরি করে অবৈধ ভাবে বিদেশে রপ্তানির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আগেই। এবার এই মামলায় কংগ্রেস বিধায়ক সতীশ কৃষ্ণ সেলকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিল বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। পাশাপাশি মোটা অংকের জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে।
কর্নাটকের অন্যতম দাপুটে নেতা কারওয়ার কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক সতীশকৃষ্ণ সেল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বল্লারি খনি থেকে বেআইনিভাবে কয়েক কোটি টাকার লৌহ আকরিক তুলে, সেই লোহা বেলেকেরি বন্দর থেকে চিনে পাচার করেন। নিজেরই জাহাজ সংস্থা শ্রী মল্লিকার্জুন শিপিং প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে চলে পাচার। ২০১০ সালের এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার বিধায়ক-সহ ৬ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। এর পরই সিবিআই গ্রেপ্তার করে সতীশকে।
শনিবার এই মামলায় সব অপরাধীকে সাজা শোনানো হয়েছে বিশেষ আদালতের তরফে। যেখানে লোহা চুরি ও বেআইনি ভাবে পাচারের অপরাধে প্রথম মামলায় অপরাধমূলক বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্রের অপরাধে বিধায়ককে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি ৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চুরি সংক্রান্ত মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার টাকা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারকে। তৃতীয় আরও একটি মামলায় সব অপরাধীর ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতারণার অপরাধে ৯.৩৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি চতুর্থ আরও এক মামলায় সেলের সঙ্গী আরও দুই অপরাধীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৯.৫৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে কর্নাটকে। সেখানে এমন গুরুতর অপরাধে শাসক দলের বিধায়কের ৭ বছরের সাজা ঘোষণা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছে কংগ্রেসের। হাত শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। এদিকে আদালতের এই নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, "চুরি ও পাচারের অপরাধে আদালত ওই বিধায়ককে দোষী সাব্যস্ত করার পর আমি কর্ণাটক বিধানসভার অধ্যক্ষকে অনুরোধ করব যাতে সতীশকৃষ্ণ সেলের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়।