সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: টানা তিনদিন জেরা। সব মিলিয়ে ৩০ ঘণ্টা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) প্রশ্নবাণে জর্জরিত রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ইডির কাছে একটি দিনের বিরতি চেয়ে নিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি। শুক্রবার ফের তাঁকে ফের হাজিরা নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে কংগ্রেস। আগেই দেশজুড়ে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। সেইমতোই আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গেও রাজভবন ঘেরাও করতে হাজির হন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রদীপ ভট্টাচার্য, অসিত মিত্র, কৃষ্ণা দেবনাথ, মহ মোখতার, শুভঙ্কর সরকার, রানা রায় চৌধুরী, প্রদীপ প্রসাদ সুমন পাল আশুতোষ চ্যাটার্জি-সহ শতাধিক আন্দোলনকারী কংগ্রেস কর্মী ও নেতৃত্বকে। পাশাপাশি সত্যাগ্রহের পথেও হাঁটছে শতাব্দীপ্রাচীন দল। সব মিলিয়ে রাহুলের জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে প্রতিবাদে উত্তাল কংগ্রেস।
এদিকে বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস সাংসদরা দেখা করেছেন লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে। অভিযোগ জানিয়েছেন, দলের প্রাক্তন সভাপতিকে ইডির তলবের প্রতিবাদ দেখানোর সময় তাঁদের সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের। পাশাপাশি রাজ নিবাস মার্গে লেফটেন্যান্ট গভর্নরেরর বাড়ির বাইরেও বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। পরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর কাছে অভিযোগ জানান হাত কর্মীদের উপরে হওয়া পুলিশ হামলা প্রসঙ্গে।
[আরও পড়ুন: প্রাইমারি টেট দুর্নীতি: সিঙ্গল বেঞ্চের CBI তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রাজ্য]
কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ”আপনারা দেখেছেন বুধবার পুলিশ কংগ্রেসের সদর দপ্তরে ঢুকে পড়েছিল। দলের সিনিয়র নেতৃত্ব, বিধায়ক, সাংসদ ও অফিস কর্মীদের উপরে নির্যাতন করা হয়েছে। এক মহিলা সাংসদের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে এমন আচরণ করতে আগে দেখিনি।” সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বিজেপি এই ধরনের আচরণ করে বোঝাতে চাইছে ওদের আদর্শের বিরোধিতা করলেই ফল ভুগতে হবে।
এদিন সকালে চণ্ডীগড়েও বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের পুলিশ আটক করলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক বিক্ষোভকারীকে বলতে শোনা যায়, ”আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। আমরা রাজ ভবন যাব। কংগ্রেস রাহুল-সোনিয়ার পাশে রয়েছে। আমরা এখান থেকে পিছু হটব না। ভয় পাব না।” শুক্রবার রাহুলের জেরার দিনও দিল্লি উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা। গত তিনদিনের মতো সেদিনও কংগ্রেস নেতারা দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারেন।