বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হাঁটল কংগ্রেস। বাংলায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র অনুকরণে হিমাচলে ‘হর ঘর লক্ষ্মী’ প্রকল্প। মহিলাদের দেড় হাজার টাকা করে প্রতি মাসে অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল নির্বাচনী ইস্তাহারে। সেই প্রকল্প রূপায়নে কমিটি গঠন করল হিমাচল সরকার। রাহুল গান্ধী এদিন একটি টুইট করে জানিয়েছেন, ১ মাসের মধ্যেই প্রকল্পটি রূপায়িত করা হবে।
এর আগে গত নভেম্বরেই রাহুল গান্ধী টুইট করেও আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলেই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা মেরে লিখেছিলেন, ‘এটা বিজেপির মতো মিথ্যে প্রতিশ্রুতি নয়।’ সেই কথাকেই সত্য়ি প্রমাণ করে রবিবার রাহুল জানিয়ে দেন, ৩০ দিনের মধ্যেই ‘হর ঘর লক্ষ্মী’ প্রকল্পটি কার্যকর করতে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাহুলের ঘোষণা ‘কংগ্রেস মানেই ভরসা’।
[আরও পড়ুন: ‘রাবণরূপী’ মোদি, ‘রাম’ নীতীশ! বিতর্কিত পোস্টার বিহারে, মহাজোটকে তোপ বিজেপির]
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর স্বার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে ছিল ‘কৃষকবন্ধু’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘কৃষকবন্ধু’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে’র মতোই চলছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজও। এই প্রকল্পে সাধারণ (জেনারেল) মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং এসসি, এসটি, ওবিসি মহিলারা প্রতি মাসে হাজার টাকা করে পান। সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকে টাকা। এবার সেই পথে হাঁটল কংগ্রেসও।
৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৩৫। কংগ্রেস জিতেছে ৪০টি আসনে। অর্থাৎ কংগ্রেস সুস্পষ্টভাবেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। গত মাসেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুখবিন্দর সিং সুখু। এবার জনাদেশ পাওয়ার পর এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পদক্ষেপ করল হাত শিবির। এবং সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে দেখানো পথেই।