সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় সোমবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের হাজিরার দিন দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। দলের প্রাক্তন সভাপতিকে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তলব করা হয়েছে, তা প্রমাণ করতে মরিয়া হাত শিবির।
শনিবার কংগ্রেস নেতা মণিকম ঠাকুর জানিয়েছেন, সোমবার রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যখন ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন সেসময় তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষনেতারা ইডি অফিস পর্যন্ত যাবেন। জেরা শেষ হওয়া পর্যন্ত ইডি দপ্তরের সামনেই থাকবেন তাঁরা। দলের সব সাংসদকেও দিল্লিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইডির (ED) মোট ২৫টি দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও দিল্লিতে যুব কংগ্রেসের একাধিক কর্মসূচি থাকছে বলে জানা গিয়েছে। তার আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাহুলের সমর্থনে সাংবাদিক বৈঠক করবে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ‘আপনি তো কলেজ ড্রপআউট’, ইতিহাস নিয়ে অমিত শাহর মন্তব্যের পালটা তৃণমূলের]
বস্তুত ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এটি রাহুলের দ্বিতীয় তলব। এর আগে ২ জুন প্রথমবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে ডেকে পাঠায় ইডি। কিন্তু সেসময় রাহুল বিদেশে ছিলেন। তাই চিঠি লিখে ইডির কাছে ফের সময় চেয়ে নেন তিনি। তারপরই রাহুলকে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। এবারে তিনি হাজিরা দেবেন। শুধু রাহুল নন, আগামী ২৩ জুন হাজিরা দেবেন সোনিয়া গান্ধীও (Sonia Gandhi)। সেদিনও দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিচ্ছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: চতুর্থ ঢেউ কি আসন্ন? ফের বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, হু হু করে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস]
প্রশ্ন উঠেছে, যদি গান্ধী পরিবারের সদস্যরা নির্দোষ হন তাহলে কেন ঘেরাও কর্মসূচি? আর কলকাতায় সিবিআই অফিসের সামনে তৃণমূলের কর্মীদের বিক্ষোভের সময় কেন কংগ্রেস সমালোচনা করেছিল? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে জেরায় হাজিরা দিতে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এআইসিসির। প্রশ্ন উঠছে, এখন কি তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মকাণ্ড নিয়ে অবস্থান বদল করবে এআইসিসি (AICC)? দীর্ঘদিন ধরে সিবিআই ও ইডির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে কংগ্রেস হাইকমান্ড কি ভবিষ্যতে তাকে সমর্থন করবে?