বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার ডেডলাইন স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তব হয়নি। অবশেষে কংগ্রেসের (Congress) তরফে জানিয়ে দেওয়া হল ১৭ অক্টোবর হবে নির্বাচন (Congress presidential election)। ১৯ অক্টোবর গণনা। ওইদিনই নতুন সভাপতি বেছে নেবে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি।
রবিবার ছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক। সেই বৈঠকেই নির্বাচনের নতুন দিন স্থির করা হল। শোনা গিয়েছিল, দিওয়ালির আগে অর্থাৎ ২৪ অক্টোবরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তাই হল। জানা গিয়েছে, মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর। শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর।
[আরও পড়ুন: ছিল গগনচুম্বী অট্টালিকা, হল ধুলোর স্তূপ, নিমেষে ধ্বংস নয়ডার টুইন টাওয়ার, দেখুন ভিডিও]
কেন পিছিয়ে দেওয়া হল নির্বাচন? কংগ্রেসের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, উৎসবের মরশুম শুরুর আগের এই সময়টা ‘অশুভ সময়’। তাই তারপরেই নতুন সভাপতি বেছে নেবে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, চেষ্টা চলছে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) রাজি করানোর। যদি এই গুঞ্জন সত্য়িও হয়, রাহুল যে রাজি হননি তা পরিষ্কার। এই মুহূর্তে লন্ডনে রয়েছে গান্ধী পরিবার। চিকিৎসার জন্য সেখানে গিয়েছেন সোনিয়ারা। এদিন সেখান থেকেই ভারচুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল। তারপর থেকেই স্থায়ী সভাপতি পায়নি কংগ্রেস। অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া (Sonia Gandhi)। যাকে ঘিরে কংগ্রেসের নিজেদের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। গুলাম নবি আজাদ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতারা সম্প্রতি দল ছেড়েছেন রাহুলকে তোপ দেগে। এহেন পরিস্থিতিতে দলের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ও আগামী লোকসভার জন্য প্রস্তুত হতে যে দ্রুত সভাপতি বেছে নেওযা প্রয়োজন, সে বিষয়ে একমত ওয়াকিবহাল মহল। অবশেষে জানিয়ে দেওয়া হল নির্বাচনের দিন।