স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৯ সালে এসেও ৪৮ বছর পিছিয়ে কংগ্রেস। তারা আবার ফিরে যেতে চায় ১৯৭১ সালে। লোকসভা ভোটের মরশুমে শুক্রবার এভাবেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তাঁর দলকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এদিন ফেসবুক ব্লগ পোস্টে জেটলি কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলিরও কড়া সমালোচনা করেন। প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী না করা নিয়েও কংগ্রেসের সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: পাঁচ বছরে সম্পত্তি বেড়েছে ৫২ শতাংশ, হলফনামায় জানালেন মোদি]
জেটলির অভিযোগ, দেশ যখন এগোতে চায় তখন তাকে পিছনের দিকে টানছে কংগ্রেস। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী ৪৮ বছর পিছনে পড়ে রয়েছেন। ১৯৭১ এবং ২০১৯-এর মধ্যে ৪৮ বছরের পার্থক্য। আর এই সময়ের মধ্যে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। কংগ্রেস কিন্তু সেই একাত্তরের ধ্যান-ধারণা নিয়েই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নেমেছে। এটি স্পষ্ট যে, সারা জীবন যাঁরা নাম নিয়ে বেঁচেছেন, তাঁদের কাছে যখন ‘পদ’ স্বপ্নের বিষয়, তারা সবকিছু থেকে সরে যান।” জেটলি বলেন, নতুন ভারত হল ‘ইতিবাচক’ চিন্তাভাবনার ভারত। তারা কখনওই রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টিডিপির মতো ‘নেতিবাচক’ মনোভাব মেনে নেবে না। এরা ভারতে থেকে নিজের দেশেরই সমালোচনা করেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে হারাতেই চান না রাহুল, বিস্ফোরক দাবি অখিলেশের]
এদিন বারাণসীতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী না করা নিয়েও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন জেটলি। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধীকে যখন ওয়ানড় আসনের পিছনে লুকোতে হল, তখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বারাণসী থেকে সরানো হল। সেখানে তাঁকে লড়তে দেওয়া হল না এবং তাই নিয়েই তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হল, কারণ তাঁর জন্য আরেকটি ওয়ানড় নেই।” জেটলি আরও বলেন, “বেশির ভাগ রাজ্যেই বিজেপি ও কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই। সেই সব রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল এবং বিজেপি-কাউকেই হারানোর অবস্থায় নেই কংগ্রেস। তাহলে এখন প্রশ্ন একটাই, বিজেপি কত ভোটের মার্জিনে জিতবে। ২০১৪-র মতো নাকি তার থেকেও বেশি। মানুষের নরেন্দ্র মোদির উপর পূর্ণ আস্থা আছে।
The post প্রিয়াঙ্কাকে ভোটে লড়তে দিল না কংগ্রেস, কটাক্ষ জেটলির appeared first on Sangbad Pratidin.