সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বুধবার নিজেদের মেগা বৈঠকের পর জি-২৩ গ্রুপের নেতারা দলের কাছে দাবি তোলেন, ২০২৪ সালে বিজেপির (BJP) বিকল্প তৈরি করতে কংগ্রেসকে (Congress) সমমনস্ক অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে হবে। এখনও পর্যন্ত এই দাবির পালটা প্রতিক্রিয়া দেয়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এর মধ্যেই আজ সন্ধ্যায় ফের গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) বাসভবনে বৈঠক করেন জি-২৩ গ্রুপের নেতারা। উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসল বিক্ষুব্ধরা।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ভারডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। এর পর গত রবিবার বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি (Congress Working Committee)। জল্পনা ছিল, এই বৈঠকে সরে দাঁড়াতে পারেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। যদিও তা হয়নি। বরং সভাপতি পদে ফের রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নাম উঠেছে (Rahul Gandhi)। তবে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা এই সিদ্ধান্তকে কতদূর মেনে নেবেন তা নিয়ে সংশয় ছিলই। কারণ সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর ছিল জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা সভাপতি হিসেবে মুকুল ওয়াসনিকের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সব মিলিয়ে মন্দ সময়ে কংগ্রেসের অন্দরের ফাটল ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সন্ধ্যায় গুলাম নবি আজাদের বাসভবনে ফের বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। জানা গিয়েছে, জি-২৩-র পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: শেষ হয়নি ‘অপারেশন গঙ্গা’, এখনও ইউক্রেনে আটকে বেশ কিছু ভারতীয়, জানাল কেন্দ্র]
গতকাল নিজেদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সুরে বিজেপি বিরোধী বিকল্প জোটের দাবি তুলেছিলেন বিক্ষুব্ধরা। গত বছর মে মাসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) এই প্রস্তাবই দিয়েছিলেন। কংগ্রেস সর্ববৃহৎ বিরোধী দল হওয়ায় অন্য বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার প্রস্তাব নিজে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে দিয়ে এসেছিলেন মমতা। কিন্তু তাতে তেমন হেলদোল দেখায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। জি-২৩ গ্রুপের নেতারা গতকাল সেই দাবিই তুলেছেন। সূত্রের খবর, গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে খুব শীঘ্রই বৈঠকে বসতে পারেন রাহুল গান্ধী। জল কোন দিকে গড়াবে তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: সৌগত রায়ের পর ডেরেক ও ব্রায়েন, ফের বর্ষসেরা নির্বাচিত তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ]
অন্যদিকে বিধানসভা ভোটে শোচনীয় হারের পর কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সরিয়ে দিয়েছেন পাঁচ রাজ্যের কংগ্রেসের সভাপতিদের। এঁরা হলেন উত্তরপ্রদেশের অজয়কুমার লাল্লু, উত্তরখণ্ডের গণেশ গোদিয়াল, গোয়ার গিরীশ চোড়নকর, মণিপুরের প্রদেশ সভাপতি এন লোকেন সিং এবং পাঞ্জাবের নভজ্যোৎ সিং সিধু। এঁদের মধ্যে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ চোড়নকর ভোটে হারের দায় নিয়ে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন।