সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিপাকে ফেলেছেন মণিশংকর আইয়ার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন আইয়ারের একটি বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই গুজরাটে অল্পের জন্য ক্ষমতা দখল করতে পারেনি রাহুল গান্ধীর দল। কিন্তু সেসব ভুলে দলের বিশ্বস্ত সৈনিককে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিলেন কংগ্রেস সভাপতি।
[যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যার মূলচক্রী গ্রেপ্তার]
গুজরাট বিধানসভা ভোটের আগে যখন মোদি-রাহুলের জোর টক্কর চলছে প্রচারে। জয় শাহ, রাফালে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপিকে ক্রমশ পিছিয়ে দিচ্ছেন রাহুল তখনই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে করা মণিশংকরের একটি মন্তব্য রাহুলের পরিশ্রমে জল ঢেলে দেয়। গতবছর ৬ ডিসেম্বর একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীকে ‘নিচ আদমি’ বলে বসেন একদা রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতা। বলা বাহুল্য, মণিশংকরের সেই মন্তব্যকে ব্রহ্মাস্ত্রের মতো কাজে লাগান মোদি। গুজরাটি অস্মিতা এবং ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রচার চালাতে শুরু করেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতির রাহুল গান্ধী কার্যত বাধ্য হয়েই দল মণিশংকর আইয়ারকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন। প্রকাশ্যেই টুইট করে দলের নেতার বক্তব্যের সমালোচনা করেন রাহুল। মণিশংকর নিজেও পরে নিজের বেফাঁস মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি কংগ্রেসের। শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য নির্বাচনে পরাস্ত হয় রাহুলের দল। মোদির নিজের রাজ্যে কোনওক্রমে ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি।
[রাফাল অস্ত্রে মোদি সরকারকে ঘায়েল করতে তৎপর কংগ্রেস]
কিন্তু এরপরও শোধরাননি মণিশংকর। পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এহেন মণিশংকরকেও নতুন করে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে রাহুল গান্ধীর কাছে সুপারিশ করা হয় মণিশংকরের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার জন্য। গতকালই সেই সিদ্ধান্ত শিলমোহর দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু, ২০১৯ নির্বাচনের আগে কেন এ হেন বিতর্কিত নেতাকে ফেরানো? কংগ্রেস সূত্রে খবর, ভোটের আগে রাফালে ইস্যুতে দেশজুড়ে আন্দোলনের ছক কষছে কংগ্রেস। আর তাতে মণিশংকরের মতো তাত্ত্বিক নেতাদের প্রয়োজন দলের। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ মণিশংকরকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলেই মনে করেন কংগ্রেস নেতাদের একাংশ।
The post মোদিকে কটূক্তি করা মণিশংকর আইয়ারকে দলে ফেরাল কংগ্রেস appeared first on Sangbad Pratidin.