সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে তৃণমূলের। ফাটল ধরেছে কংগ্রেসের অন্দরে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কার্যত চাপে হাতশিবির। বৃহস্পতিবার রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে বসে দলীয় নেতৃত্ব। এদিনের বৈঠকে বিজেপি বিরোধিতায় সমস্ত তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধার পক্ষে সায় কংগ্রেসের।
এদিন বৈঠকের পর বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “সামনেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে রণকৌশল স্থির করতে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে আমরা বৈঠক করি। সংসদে ঠিক কোন ইস্যুতে সুর চড়ানো হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। মূলত পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় সহায়ক মূল্যে কৃষিজাত সামগ্রী বিক্রির বিষয়ে সওয়াল করব আমরা। বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূল-সহ সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গে জোট বাঁধার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।” মল্লিকার্জুন খাড়গের মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগের পর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মইদুল ও ৫ বিষপানকারী শিক্ষিকার বৈঠক, মিটল সমস্যা]
উল্লেখ্য, বাংলার বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরই বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ার ডাক দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। এমনকী, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও সর্বভারতীয় স্তরে ঐক্যের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সময় দিল্লিতে একান্তে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন তিনি। কথাও হয় বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে। তবে এবারের দিল্লি সফরে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে গুঞ্জন চলছেই।
তারই মাঝে কংগ্রেসের একাধিক নেতা শিবির বদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা তথা কপিল দেবের সতীর্থ হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটের নামী ব্যক্তিত্ব কীর্তি আজাদ সম্প্রতি তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই মেঘালয়েও কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছে। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। বৃহস্পতিবার মানস ভুঁইঞার উপস্থিতিতে শিবির বদল করে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মল্লিকার্জুন খাড়গের মন্তব্য যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।