সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) প্রবেশের আগেই ধাক্কা কংগ্রেসের। আদর্শগত কারণে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দীপিকা পুষ্কর নাথ। কাঠুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে (Kathua Gang Rape) অভিযুক্তদের সমর্থনকারী লাল সিংকে ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে কংগ্রেস। দলের এহেন সিদ্ধান্ত মানতে না পেরেই ইস্তফা দীপিকার। প্রসঙ্গত, গণধর্ষিতার পরিবারের হয়ে একসময়ে মামলা লড়েছেন পেশায় আইনজীবী কংগ্রেস নেত্রী। বৃহস্পতিবারেই কাশ্মীরে প্রবেশ করবে ভারত জোড়ো যাত্রা।
মঙ্গলবার টুইট করে ইস্তফার কথা জানান দীপিকা। টুইটে তিনি লেখেন, “ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটার আবেদন জানিয়েছিলেন লাল সিং। তাঁকে অনুমতি দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই দল থেকে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আমার আর কোনও উপায় ছিল না। ২০১৮ সালের কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে ধর্ষকদের সমর্থনও করেছিলেন। তাদের রক্ষা করতে কার্যত গোটা জম্মু কাশ্মীরকে দুই ভাগে ভেঙে ফেলেছিলেন। কিন্তু ভারত জোড়ো যাত্রার আদর্শ এহেন আচরণের একেবারে উলটো। নীতিগত কারণেই এমন একজন মানুষের সঙ্গে একই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কমিশন, গণনা ২ মার্চ]
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসে থাকার পরে ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন লাল সিং। সেই সময়ে জম্মু কাশ্মীরের বনমন্ত্রী হন তিনি। তাঁর মন্ত্রিত্বের সময়েই ২০১৮ সালে ঘটে কাঠুয়া গণধর্ষণের ঘটনা। আট বছর বয়সি এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আটজনের বিরুদ্ধে। তারপরেই ধর্ষকদের পক্ষে মিছিল বের করেন লাল সিং। এহেন কাজের জন্য তাঁকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য করে তৎকালীন বিজেপি সরকার। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের সরকারের পতনের পরে বিজেপি ছাড়েন লাল সিং।
লাল সিং ছাড়াও কাশ্মীরের একাধিক নেতাকে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কংগ্রেস। ফারুক ও ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি ও এম ওয়াই তারাগামিকে ভারত জোড়ো যাত্রায় দেখা যেতে পারে। যাত্রার সঙ্গে সঙ্গে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মেহবুবা মুফতি। তাঁর মতে, “দেশ যখন ঘৃণায় ভরে গিয়েছে, সেই সময় ভালবাসা ও শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছেন রাহুল গান্ধী। মানুষের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার জন্য তাঁর এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।”