সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। নির্বাচনী প্রচারে অভিযোগ, পালটা অভিযোগে মেতে উঠেছে শাসক বিরোধী দু'পক্ষই। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিশানায় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিজেপি সভাপতি বিডি শর্মা। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও কংগ্রেসিদের শরীরে ইংরেজদের রক্ত বইছে।
নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিশানায় নিয়ে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি (BJP) সভাপতি বলেন, "কংগ্রেস আসলে রাহুল গান্ধী ও তাঁর পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এবং সারা জীবন এই দলটি 'ডিভাইড অ্যান্ড রুল' নীতি প্রয়োগ করে গিয়েছে দেশে। যেটা ইংরেজরা করত। কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের নেতাদের রক্তে এখনও ইংরেজদের ডিএনএ ঢুকে রয়েছে। যার পরিণতি, ওরা শুধু বিভাজনই দেখতে পায়। দেশে কীভাবে বিভাজনের রাজনীতি করতে হবে সেই পরিকল্পনা করে চলে। প্রতিটি নির্বাচনে আপনারা দেখতে পাবেন কংগ্রেসের এই বিভাজন ও পক্ষপাতিত্ব।" পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে ওই বিজেপি নেতার দাবি, "গত ১০ বছরে দেশের রাজনীতি পালটে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকী সংখ্যালঘুরাও স্বীকার করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উন্নয়নের স্বার্থে কোনও পক্ষপাতিত্ব করেননি।"
[আরও পড়ুন: ‘দয়া করে দেবেগৌড়াকে জড়াবেন না’, ভাইপোর সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে মন্তব্য কুমারস্বামীর]
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বারবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি রাজস্থানে রাজনৈতিক প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেছিলেন, ওদের ইস্তফাপত্রে দাবি করা হয়েছে, মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র কংগ্রেস নাকি তাঁদের হাতে তুলে দেবে যারা অধিক সংখ্যায় সন্তানের জন্ম দেয়। বিজেপির অভিযোগ, জাত-পাতের ভিত্তিতে সুবিধাবাদী রাজনীতি আসলে কংগ্রেসের নীতি। ক্ষমতায় থাকাকালীন ধর্মের ভিত্তিতে একাধিক রাজ্যে মুসলিমদের সংরক্ষণ দিয়েছিল হাত শিবির। সে প্রসঙ্গেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতির দাবি, ইংরেজ আমলে দেশে যে 'ডিভাইড অ্যান্ড রুল' চলত সেটাই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: আনন্দ পরিবেশে নিমেষে বিষাদের ছায়া! দিদির বিয়েতে নাচতে নাচতে মৃত্যু তরুণীর]
তবে বিজেপির তরফে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভাজন ও মুসলিম তোষণের অভিযোগ তোলা হলেও, কংগ্রেসের দাবি প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বিজেপির বেহাল দশাটা স্পষ্ট হয়ে যেতেই এবার সরাসরি উগ্র হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই মোদির মুখে আর ৪০০ পারের হুঙ্কার শোনা যাচ্ছে না। এখন বিজেপির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে হিন্দুত্ব। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক বিজেপি নেতার ধর্মীয় বিদ্বেষ মূলক মন্তব্যের অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস।