বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেখানো পথেই হাঁটছেন সোনিয়া (Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধীরা (Rahul Gandhi)। এর আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশ যাদবকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বাংলার নেত্রী। এবার সেই পথেই কংগ্রেস। উপনির্বাচনে অখিলেশকে জোটের বার্তা এআইসিসির (AICC)। রাজ্যের আজমপুর ও রামপুর লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না তারা। বিধানসভায় ভোটে জয়ের পর আজমপুর আসনটি অখিলেশ ও রামপুর ছেড়ে দেন দলের বর্ষীয়ান নেতা আজম খান। তখন জোট না হলেও এবার কংগ্রেসের প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগামিদিনের জোটের বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
চলতি বছর রাষ্ট্রপতি ও পরের বছর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং তারপরেই লোকসভা। দিল্লি সফরে এসে ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকবার অখিলেশের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথাও বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের ভোটে অখিলেশের সমর্থনে সভাও করেন তৃণমূলনেত্রী। এবার এই দুই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আদতে মমতার বিজেপি বিরোধী লাইনকেই সোনিয়াদের সমর্থন বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: গোয়ায় ছুটি কাটাতে এসে পুরুষসঙ্গীর সামনেই ধর্ষিতা বিদেশিনী, গ্রেপ্তার যুবক]
জনবিন্যাসের নিরিখে আজমপুর পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। তাই সবসময়েই এই লোকসভা সমাজবাদী পার্টির গড় বলেই পরিচিত। রামপুরের ভোটও নিয়ন্ত্রণ করে সংখ্যালঘুরা। তাই আজম খানের মতো সংখ্যালঘু নেতাকে প্রার্থী করে এই আসন থেকে জিতিয়ে আনেন অখিলেশ যাদবরা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল রামগড় থেকে বিজেপি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভিকে প্রার্থী করবে।
[আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তার মাঝে সামান্য স্বস্তি, দেশে একদিনে ৪ হাজারের নিচে নামল করোনা সংক্রমণ, কমল মৃত্যুও]
সূত্রের খবর, নকভি নিজেই প্রার্থী হতে চাননি। তাই কোনওভাবেই আসন দু’টি বিরোধীদের হাতছাড়া হোক চাইছে না কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিজেপি বিরোধী জোটের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। আবার সমাজবাদী পার্টি বিজেপি বিরোধী বলেই পরিচিত। সেই সঙ্গে এখানে প্রার্থী দিলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হতে পারেন। সবদিক চিন্তাভাবনা করেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত বলে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা।