সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘মিলে কদম, জুড়ে ওয়াতন’। অর্থাৎ পায়ে পায়ে পা মিলিয়ে দেশ জোড়ার সংকল্প। এমন ট্যাগলাইনেই ৭ সেপ্টেম্বরের দেশব্যাপী ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র (Bharat Jodo Yatra) পরিকল্পনা কংগ্রেসের (Congress)। শতাব্দী প্রাচীন দলটির তরফে মঙ্গলবারই উন্মোচিত হল এই বিপুল কর্মসূচির লোগো ও ওয়েবসাইট। তবে বিভিন্ন ভাষায় লোগো থাকলেও বাংলায় কোনও লোগো প্রকাশিত হয়নি।
৭ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটায় শুরু হবে ওই যাত্রা। ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৫০ দিনে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মিছিলের যাত্রাপথের সবথেকে বেশি অংশ রয়েছে কেরল, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায়। এদিন জয়রাম রমেশ ও দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের মতো দুই বর্ষীয়ান নেতা এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই পদযাত্রা সম্পর্কে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: দূষণ রুখতে নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের, পুজোর আগেই কলকাতায় চালু ই-ক্যাব]
জানা গিয়েছে, যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মোট তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ভারতযাত্রী (যাঁরা পুরো যাত্রাপথেই থাকবেন), অতিথিযাত্রী (যে রাজ্যে যাত্রা যাচ্ছে না, তাঁদের প্রতিনিধিরা) ও প্রদেশযাত্রী (যে প্রদেশে যাত্রা যাবে তাদের প্রতিনিধি)। একশো করে তিন ধরনের যাত্রী সবসময় থাকবে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, রাহুল (Rahul Gandhi) ভারতের নেতা, তিনি ভারতযাত্রী হিসেবেই থাকছেন। অর্থাৎ গোটা যাত্রাতেই তিনি থাকছেন যাত্রার পুরোভাগে। এও জানা যাচ্ছে, যাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা কেউ হোটেলে থাকবেন না। ট্রাক ও কন্টেনারেই থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’কে তারা রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে না। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই যাত্রার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দেশের শান্তি, সম্প্রীতি রক্ষা করতে দেশহিতের প্রশ্নেই এই কর্মসূচির পরিকল্পনা বলে দাবি তাদের। কংগ্রেসের প্রতীক, পতাকা কিছুই থাকবে না যাত্রায়। মূল যাত্রা ছাড়াও দেশের সব প্রান্তেই হবে যাত্রা। এদিন প্রকাশ করা হয়েছে যাত্রার নানা স্লোগানও। যেমন- বেরোজগারি কা জাল তোড়ো, ভারত জোড়ো কিংবা মহেঙ্গাই সে নাতা তোড়ো, ভারত জোড়ো। অথবা নফরত ছোড়ো ভারত জোড়ো।